বায়তুল মোকাররম মসজিদে আজ বুধবার বাদ জোহর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় হামলা, গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে বুধবার বাদ জোহর আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঢাকায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হতে না দেয়া এবং সমবেত জনতার উপর পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি ১৫ আগস্টের ওই বিবৃতিতে বলেন, `বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন ও সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ৮:৪০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্তিকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উনার ইন্তিকালের খবর প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে হাজার হাজার তৌহিদি জনতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হতে থাকে।
রাত যত বাড়তে থাকে জনতার উপস্থিতিতে হাসপাতাল চত্বর ও শাহবাগের আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্যে পরিণত হতে থাকে। আল্লামা সাঈদীর পরিবারের লোকজন ও প্রাশাসনের সাথে সমন্বয় করে ১৫ আগস্ট বাদ জোহর পিরোজপুরে জানাযা, দাফন এবং ১৬ আগস্ট ঢাকায় গায়েবানা জানাযা করার সিদ্ধান্ত হয়।`
তিনি বলেন, `তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে আগত হাজার হাজার সমবেত জনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় জানাযার দাবি তোলা হয়। অনেকে লাশবাহী এম্বুলেন্স আটকিয়ে তার সামনে বসে যান এবং অনেকে শুয়ে পড়েন। শান্তিপূর্ণভাবে তারা তাদের প্রিয় রাহবারের ঢাকায় জানাযার দাবি জানান।
তবে অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে দেশবাসী লক্ষ্য করেছে ফজরের পরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই সমবেত জনতার উপর মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড, গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তাদের হাত থেকে হাসপাতালে আগত রোগীদের আত্মীয় স্বজন মসজিদের সাধারণ মুসল্লিগণও রেহাই পাননি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।`
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দলমত-নির্বিশেষে এদেশের কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় অন্তিম সময়ে তাঁর পরিবারের কারো সাথেই তিনি কথা বলে যেতে পারেননি। পরিবারের লোকজনকে তাঁর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। যা অত্যন্ত অমানবিক ও বেদনাদায়ক।
এইচআর