ঢাকার সাভারে এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার চেষ্টা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে যুব মহিলা লীগের নেত্রী মেহনাজ মিশুকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে যুব মহিলা লীগ।
মেহনাজ মিশু ঢাকা জেলা (উত্তর) যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেও দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ঢাকা জেলা (উত্তর) যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ-সংলগ্ন বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা-পুলিশ জানায়, এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার চেষ্টাসহ নির্যাতনের নানা বিষয় উল্লেখ করে শনিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সকালে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার বলেন, ‘মেহনাজ মিশুকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তবে আমার স্বাক্ষর নকল করে তিনি নিজেকে ঢাকা জেলা (উত্তর) যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন, জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়। মেহনাজ মিশু আমাদের দলের কেউ নন।’
ঢাকা জেলার (উত্তর) বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মেহনাজ মিশুর নাম আছে, জানানো হলে ডেইজি সারোয়ার বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটি ঢাকা জেলা (উত্তর) যুব মহিলা লীগের কমিটির অনুমোদন দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা এখন মেহনাজ মিশুর ব্যাপারে খোঁজ নেব। এরপর যাচাই করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের করা মামলায় মেহনাজ মিশুকে সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিশুকে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার
মেহনাজ মিশুকে যুব মহিলা লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার রাতে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা জেলা উত্তর শাখার মেহনাজ মিশুকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এইচআর