তরুণরা ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৩, ০৩:০৩ পিএম
তরুণরা ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল

পরিবর্তন যদি আনতে হয় তরুণরা ছাড়া সম্ভব নয় এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ সবই করতে হবে তরুণদের।

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‍‍`নাগরিক সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা শীর্ষক‍‍` আলোচনা সভার আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (নুরপন্থী)।

মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবর্তন যদি আনতে হয় তরুণরা ছাড়া সম্ভব নয়। আজকে লড়াই, সংগ্রাম , যুদ্ধ সবই করতে হবে তরুণদের। আমার কষ্ট হয়, যখন কোন নারী শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয় তখন তার ক্যাম্পাস, সহকর্মী তরুণরা কোন আন্দোলন করে না। আমরা কিন্তু পাকিস্থান আমলে আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু এখনকার সে তরুণদের মধ্যে তা দেখি না।

তিনি বলেন, এক তরুণকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বড় হয়ে কি হতে চাও? তখন সে বলে রাজনীতিবিদ হতে চাই। কেন? এখানে অনেক টাকা! সত্যিই তাই বলে এখনকার সময়। কি পর্যায়ে গেছে তরুণদের ভাবনা।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোন সংবিধান কথা বলে আওয়ামী লীগ, এটা তো আওয়ামী লীগের তৈরি করা সংবিধান, যে সংবিধানে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের একটি সমস্যা, তারা মনে করে এ দেশের মালিক আওয়ামী লীগ। এর ভিতরে থেকে বের হয়ে আসতে হলে বড় একটা ঝাঁকুনি দরকার, সংগ্রাম, যুদ্ধ দরকার। বড় সুনামি ছাড়া আমাদের ঘাড়ে যে পাথর চেপে বসে আছে তা সরানো যাবে না।

আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ করিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৭৩ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, ১১ জনকে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাদের কি একবার মনে পড়ে না। শিষ্টাচার বলতে আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন কোন জিনিষ নেই, তাদের বডি লাগগুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো। তারা আমাদের একক ভাবে গালি দেয়।

ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের তো পুরো টাই মিথ্যার ওপর, সব কিছু আওয়ামী লীগের মিথ্যার ওপর তৈরি করা। তাদের মন্ত্রীরা যা নির্দেশ দেয় তাই প্রকাশ করা হয়, এখানে এত উৎপাদন হয়েছে, দেখি সেটাই দেখানো হয়।

কোন কিছু অবশিষ্ট নেই তো, কোনটি বাকী আছে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখা যায় একজন শিক্ষামন্ত্রীর নামে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠে, ব্যাংক থেকে বিশেষ বিবেচনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়। এটা কোন দেশ। এই দেশে যদি আমরা পরিবর্তন না আনতে পারি, তাহলে এদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।

গণ অধিকার পরিষদ এর সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।

এইচআর