উন্নয়নে স্বস্তি রূপগঞ্জে, ভোটের মাঠে নির্ভার গাজী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
উন্নয়নে স্বস্তি রূপগঞ্জে, ভোটের মাঠে নির্ভার গাজী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গড়ে উঠেছে শিল্পকারখানা, আবাসন কোম্পানিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান। রয়েছে মালয়েশিয়ার আদলে গড়ে ওঠা পূর্বাচল উপ শহর।

এ আসন থেকে পরপর তিনবার নৌকার মনোনয়নে বিজয়ী হয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। উন্নয়নের সুবাদে ভোটের মাঠে নির্ভার রয়েছেন তিনি।

গোলাম দস্তগীর গাজী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, তৃণমূল বিএনপির তৈমূর আলম খন্দকার ও জাতীয় পার্টি থেকে সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির যোবায়ের আলম ভূঁইয়া, ইসলামী ফ্রন্টের এ কে এম শহিদুল ইসলাম। এসব প্রার্থীদের গোলাম দস্তগীর গাজীকে এগিয়ে রেখেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলেন, “গোলাম দস্তগীর গাজী সব দিক থেকেই শ্রেয়তর প্রার্থী। তিনবারের সাংসদ, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, দলের সংকটময় মুহূর্তেও থেকেছেন অবিচল। একজন শিল্পপতি এবং মন্ত্রী হওয়ার পরও নিজ এলাকায় যথেষ্ট সময় দেন। রূপগঞ্জে গাজীর বিকল্প কেবল গাজী।”

এদিকে গোলাম দস্তগীর গাজীর জন্য সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ রূপগঞ্জ উপজেলায় আমূল পরিবর্তন। গত দেড় যুগে তিনি পাল্টে দিয়েছেন রূপগঞ্জের চিত্র। এক সময়ের অনুন্নত একটি উপজেলা এখন উন্নয়নের মডেল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, “গোলাম দস্তগীর গাজী সব দিক দিয়ে যোগ্য। তিনি তিনবারের এমপি, খেতাবপ্রাপ্ত  বীরপ্রতীক, ওয়ান-ইলেভেনে জীবন বাজি রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য, দেশের অন্যতম শিল্পপতি, নিজ এলাকায় যথেষ্ট সময় দেন।”

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তবে একে ভালো চোখে দেখছেন না দলের নেতাকর্মীরা।

তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান। তবে তার পক্ষে বিএনপির হাতেগোনা নেতাকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম দলের নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন।


গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, “নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনটি এক সময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। ২০০৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করি। দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় পরপর তিনবার জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। বর্তমানে এ আসনটিতে আমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অনেক শক্তিশালী। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসনটি উপহার দিয়েছি। এবারও তাই হবে বলে আশা করছি।”

পাটমন্ত্রী বলেন, “এক সময়ের অবহেলিত এই রূপগঞ্জকে সাজাতে গিয়ে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বর্তমানে এখানে পূর্বাচল উপশহর, নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা, ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ, গাজী সেতু, কাঞ্চন সেতু, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ, নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, কর্মসংস্থানসহ নানা উন্নয়ন হয়েছে।”

স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, “রূপগঞ্জের সন্তানই রূপগঞ্জের এমপি হবেন। জনগণের এ চাওয়া পূরণ করতে আমি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছেন।”

তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, “আমি রূপগঞ্জে গ্যাস এনেছি। বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালে রূপগঞ্জের মানুষকে চাকরি দিয়ে ২৬ মাস জেল খেটেছি। আমি হাইকোর্টে রিট করে ভূমিদস্যুদের বালু ভরাট বন্ধ করেছি। রূপগঞ্জের মানুষ চায় আমি রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচন করি। আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জ বদলে দেব।”

জাপা প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জের শিক্ষা খাতে উন্নয়ন করব। রূপগঞ্জের রাস্তাঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন করব। রূপগঞ্জ থেকে মাদক নির্মূল করব।”

এইচআর