প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোট কেন্দ্রে কারচুপি বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে ঐ কেন্দ্র তাৎক্ষণিক ভোট বা নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন কিছু অভিযোগ থাকলেও প্রচারণা ও ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোট এক জায়গায় দিলে আরেক জায়গায় চলে যাবে এটার কোনো সুযোগ নেই, এগুলো ভ্রান্ত প্রচারণা। ভোটের দিন একটিমাত্র কেন্দ্রে কারচুপি হলেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোটের আগের পনের দিন কি হলো না হলো সেটা কিছুদিন পর মানুষ ভুলে যাবে। কিন্তু ভোটের দিন রেজাল্টা কি হলো, পোলিংয়ের মধ্যে কারচুপি হলো কিনা, জবরদস্তি সিল মারা হলো কিনা এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হবে না। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাঁচটা বাহিনীর লোক থাকলে সবাইকে হাত করা যায় না। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ ১৫-১৬ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রের বাহিরের ভারসাম্য রক্ষা করবে। কিন্তু কেন্দ্রের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে রিটানিং অফিসারকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। তখন প্রিজাইডিং অফিসারকে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। ঐ কেন্দ্রের ভোট প্রয়োজনে দশবার নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের বক্তব্য খোলামেলা শোনা। অধিকাংশ বলেছে পরিবেশ ভালোই আছে। তবে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকলেও মোটা দাগে কোনো আপত্তি আসেনি।
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ ৬ জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে নগরীর ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জেলার সব সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আরএস