দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে কিশোরগঞ্জ থেকে মনোয়ন চান সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক পান্না বেগম (জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না)। অন্য নারী নেত্রীদের মতো তিনিও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মহিলা আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আশা করছেন, তার রাজনৈতিক কার্যক্রম মূল্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী এবার তাকে মনোনীত করবেন।
সাংবাদিক পান্না দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত। এক বক্তব্যে পান্না বেগম বলেন, `ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেছি। আমার দাদার বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিলো।
একাত্তরে আমার পরিবারের সদস্যরা আমার দাদা মফিজ উদ্দিনের নের্তৃত্বে আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা খাওয়াসহ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে বড় হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি মেনে চলতেন আমার দাদা, বাবা ও চাচারা। আমিও সেই পথেই হেটেছি।
ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। সাংবাদিক পান্না বলেন, এক সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অনুসারী হয়ে কাজ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পথ অনুস্মরণ করি। তাঁকে ভলোবাসি। দেশকে উন্নত করতে, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমিও ভুমিকা রাখতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।`
কর্মজীবনে তিনি প্রায় দুই দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন। বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক মানবকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি সাপ্তাহিক ‘পঙক্তি’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাংবাদিক পান্না বেগম ব্যাক্তিজীবনে জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি নামে এক কণ্যা সন্তানের জননী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরপাড়াতলা গ্রামে। শৈশবে তিনি ওই গ্রামেই বড় হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স এবং সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি রুপনগর ল’ কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রী লাভ করেন।
নানা সময়ে তিনি রাজনীতির রুষানলে পড়েছেন। স্থানীয় রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনে তাকে নির্বাচিত করা হলে দলের সকল নিয়ম মেনে চলবেন। শেখ হাসিনার শক্ত হাত হিসাবে কাজ করে যাবেন।
এইচআর