দাম কমানো, রেশন ও দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে বাম জোটের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
দাম কমানো, রেশন ও দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে বাম জোটের সমাবেশ

বাম জোটের নেতারা বলেছেন, লুটপাট বন্ধের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। তারা বলেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব না।

দাম কমানো, রেশন ও দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ এমন কথা বলেন বাম জোটের নেতৃবৃন্দরা।

এ সময় সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে এস আলম গ্রুপসহ কারো কারোর হাতে আলাদিনের চেরাগ আবার উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমজীবী কারো কারোর হাতে রঙ চটা খালি।

নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্র ভেঙে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বায়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বায়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দুঃশাসনের হটানো ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

জোটের নেতারা দেশের পাটকলসহ রাষ্ট্রীয় খাতকে বেসরকারি মালিকানায় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এর মধ্যে দিয়ে সরকারি সম্পদ ভাগবাটোয়ারার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। এ খাতে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদক্ষতা, ভুলনীতি ও দুর্নীতির খেসারত শ্রমিক ও জনগণের কাঁধে চাপানো হয়। এর দায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিতে হবে।

সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

ইএইচ