বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমান বলেন, আন্দোলনের অনেকগুলো বাঁক থাকে। প্রথম বাঁকে আমরা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিলাম, সেখানে সফল হয়েছি। এখন আন্দোলনে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামতে বাধ্য করা হবে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।
তিনি বলেন, শহিদ জিয়ার নাম বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বুকের মধ্যে জমে আছে কারণ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছে।জিয়ার নামে সরকার অনেক অপপ্রচার করেছে তারপরও জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো, যতই নির্যাতন করা হবে ততই জেগে উঠবে। সরকার বিএনপিকে ভয় পায় বলেই এখনও নেতাকর্মীদের মুক্তি দিচ্ছে না। এছাড়া জনগণের ভোটে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশের সহায়তায় সরকার ক্ষমতায় আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার অবৈধভাবে জনগণের অধিকার নষ্ট করে ক্ষমতায় বসেছে। তাই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার ক্ষমতায় বসে একনায়কতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। তারা আইন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে, নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো বিচারব্যবস্থা পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন ,তারা আমাদের দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেক নেতাকর্মীকে আটক রেখেছে। তাদেরকে যে মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। লোক দেখানোর জন্য সরকার কিছু মামলা থেকে জামিন দিলেও একটি করে মামলার মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটি অমানবিক।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, উন্নয়নের নামে এ সরকার যা করছে তা সবই প্রহসন। একতরফা লোক দেখানো উন্নয়নের নামে ব্যাংক খালি করে ফেলেছে। এতকিছুর পরও সরকারের টনক নড়ে না।
বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মনির কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষের উপর গুম, খুন হত্যা, নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের জেলে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে পুলিশ হত্যা করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। বিএনপিকে জোর করে নির্বাচনে নেওয়ার জন্য ২৮ অক্টোবর ক্রাকডাউন চালিয়েছিল ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জিয়া প্রজন্ম দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভিন কাউসার মুন্নি, মহাসচিব মোঃ সারোয়ার হোসেন রুবেল প্রমুখ।
বিআরইউ