মাসব্যাপী এবি পার্টির গণ-ইফতারের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
মাসব্যাপী এবি পার্টির গণ-ইফতারের উদ্বোধন

মাসব্যাপী গণ-ইফতার কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ ও ইফতার মাহফিল বন্ধের সরকারের নীতি এবং ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপকে সাম্প্রদায়িক উসকানির শামীল বলে মন্তব্য করেছেন তারা। 

আজ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে মাসব্যাপী গণ-ইফতার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী এ অভিযোগ করেন। দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকটকালে অসহায় সমস্যাগ্রস্ত নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যকর নিরাপদ খাবার বিতরণের এক মডেল কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।

প্রতিদিন ১৫০০ অসহায় নাগরিকদের ইফতারের সময় এ খাবার বিতরণ করা হবে। আজ প্রথমদিনে বিজয়-৭১ চত্বরে সমবেত  নাগরিকদের মাঝে এবং কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে  এ খাবার বিতরণ করা হয়।

বিজয়-৭১ চত্বরে সমবেত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যদানকালে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী আরও বলেন; রমজানে আত্মীয় স্বজন ও পাড়া পড়শী সবাই একসাথে বসে ইফতার করা আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল গুলোতে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির চর্চা ও নসিহতমূলক আলোচনা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান ডামি সরকার ইফতার মাহফিলের ব্যাপারে নোয়াখালী ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ কোথাও কোথাও দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বিভিন্ন স্থানে  রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারি প্রশাসন কর্তৃক ওয়াজ মাহফিলে বাঁধা দেয়ার সমালোচনা করে বলেন; আমাদের দেশে নীতি, নৈতিকতা, সততা ও  ধর্মশিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়াজ মাহফিল। 

বিভিন্ন ছুতায় ইফতার ও ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতাকে একটা ভয়ানক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিল ও ইফতার মাহফিল জনগণের সাংবিধানিক নাগরিক অধিকার। তিনি সাংবিধানিক অধিকার হরণের ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে সরকারের কোন ভ্রূক্ষেপ নাই কিন্তু ইফতার ও ওয়াজ মাহফিলের প্রসঙ্গ আসলে তারা ব্যয় সংকোচনের কথা ভাবেন। এটা স্পষ্টত: সাম্প্রদায়িক বৈষম্য ও উসকানি বলে আমরা মনেকরি।

গণ-ইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান প্রমুখ।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, শাহীনুর আক্তার শীলা, রুনা হোসাইন, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বায়ক সিএম আরিফ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিআরইউ