বর্তমান ‘জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় শিক্ষা সেমিনারের ৭ দফা ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
রোববার (০৫ মে) কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত শিক্ষা সেমিনারে এ ৭ দাবি ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নতুন যে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে নাস্তিকতা ও ট্রান্স জেন্ডারকে প্রমোট করা হচ্ছে। অবিলম্বে তারা এসব প্রত্যাহার চান। তা নাহলে নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন হেফাযত নেতারা।
হেফাজতের ঘোষিত দফাগুলো হলো-
১. ‘ইসলামী শিক্ষা বিষয়’ প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শাখায় আবশ্যিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ‘ইসলামী শিক্ষা বিষয়’ পুনঃবহাল করতে হবে।
৩. বিতর্কিত ও প্রত্যাখ্যাত কুরআনবিরোধী বিবর্তনবাদ ও ট্রান্সজেন্ডারবাদসহ ইসলামবিরোধী সকল পাঠ্যরচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করতে হবে।
8. আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষার পাঠদান সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ উদ্দেশ্যে আরবি ভাষা শিখে এগিয়ে রয়েছে।
৫. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিতকরণ পূর্বক অপসারণ করে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।
৬. ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পূণঃসংস্করণ করতে হবে।
৭. ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
আমরা সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রতি আমাদের প্রস্তাব ও যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। একইসাথে দেশের জনগণকে ইসলামবিরোধী ও জাতীয় মূল্যবোধপরিপন্থী এ শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।
বিআরইউ