নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা শফি আহমেদ মারা গেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহহিল কাইয়ূম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শফি আহমেদ। পরে দ্রুত তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শফি আহমেদ জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য এবং ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এক শোক বিবৃতিতে তিনি শফি আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয়ে অপরাজেয় বাংলায়, এরপর সকাল সাড়ে এগারোটায় নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে, বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। নেত্রকোণায় এই নেতার তৃতীয় জানাজা হবে মাগরিবের নামাজের পর।
ইএইচ