দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

চলমান পরিস্থিতি দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

এর আগে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ‍উপস্থিত ছিলেন না। সোমবার জনগণের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, আলোচনায় জামায়াতের আমির, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির নেতারা ছিলেন। এছাড়া সুশীল সমাজ এবং ড. আসিফ নজরুল ও জোনায়েদ সাকীও ছিলেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি জনগণের জানমালের দায়িত্ব নিয়েছি। আপনারা আশাহত হবেন না। আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা আইনের প্রতি আস্থা রাখুন, আমি সব দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের কথা দিচ্ছি আপনারা আশাহত হবেন না। ইনশাআল্লাহ্‌, আপনাদের যত দাবি আছে সেই দাবিগুলো পূরণ করবো। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, দয়া করে ভাঙচুর, হত্যা, মারামারি ও সংঘর্ষ থেকে বিরত হন। আমি নিশ্চিত আপনারা যদি আমার কথা শোনেন একসঙ্গে কাজ করলে নিঃসন্দেহে একটি সুন্দর পরিবেশের দিকে অগ্রসর হবো। দয়া করে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করেন। সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে আমরা অগ্রসর হবো। প্রতিটি হত্যা, অন্যায়ের বিচার হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি ঘিরে রোববার ঢাকাসহ সারাদেশে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশসহ মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের প্রথম থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধে গুলি চালায় পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ও মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়লেন শেখ হাসিনা।

আরএস