নজরুল ইসলাম খান

ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপির দীর্ঘ সংগ্রাম-ত্যাগের ফলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়নি। এ কাজটি সুচারুরূপে এবং দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এরশাদ বিরোধী স্বৈরাচার আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদল নেতা জেহাদের স্মরণে ৯০ সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বলেন, জনগণ চায় জনপ্রতিনিধিরা তাদের সমস্যা সমাধান করুক। শহীদ জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের জন্য বাকশালের কবর রচনা করেছিলেন। জনগণকে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন ভূমিকা পালন করেছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়। দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী গুম, খুন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন। ইতিহাসের পরিক্রমায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদলকর্মী নাজির উদ্দিন জেহাদ। তখন থেকে এ দিনটিকে বিএনপি ‘জেহাদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে রাজউক অ্যাভিনিউ মোড়ে শহীদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়।

স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যুগে যুগে আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত স্বৈরশাসক যেকোনো বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন। শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতে থেকে প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করছেন।

বর্তমান সরকারের সাংবিধানিক ভিত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ কেউ এই সরকারকে বিপ্লবী সরকার বলার চেষ্টা করেছেন। সংবিধানে যখন কোন কিছু সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে না, তখন রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই বিষয়ে রেফারেন্স চান। এবারে ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন সম্পর্কে সুপ্রিমকোর্টের রেফারেন্স চেয়েছেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

তিনি এটাকে ডক্ট্রিন অফ নেসেসিটি (অনিবার্য প্রয়োজন) বলে আখ্যায়িত করেন ।

তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।

এ সময় বক্তব্য দেন- ডাকসুর সাবেক জিএস এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।

ইএইচ