বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী কারো মার্কেট দখল নিবে না, কারো জমি দখল দিবে না, কারো হাসপাতাল দখলে নেবে না। জামায়াতে ইসলামী মানুষের হৃদয় দখল করবে। সে কাজে সম্মানিত চিকিৎসকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার অনুরোধ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মেডিকেল বিভাগের উদ্যোগে হাসপাতালের কনসালটেন্টদের (চিকিৎসকদের) নিয়ে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও মেডিকেল বিভাগের সভাপতি ডা. এমজি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মেডিকেল বিভাগের সেক্রেটারি ডা. মারুফ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডা. হাফিজুর রহমান, ডা. হারুন অর রশীদ, ডা. মিজানুর রহমান।
সুধী সমাবেশে শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, শারীরিক সুস্থতার জন্য আত্মিক পরিশুদ্ধতা অনিবার্য। মানুষ নিজেকে এতো ক্ষমতাবান মনে করে কী করে? সামান্য পিঁপড়া কানের ছিদ্রে প্রবেশ করলে মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। এরপরও মানুষকে মহান আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে এই মানুষ কেবল আল্লাহর দাসত্ব করবে এবং আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিবে। সে কাজে অবশ্যই একটি সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা বলবৎ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আল্লাহর গোলামী করার কাজে যত বড় বাঁধা আসুক না কেন তা মোকাবেলা করেই আমাদেরকে সামনে অগ্রসর হতে হবে। আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি এ কারণে যে, আমরা দুনিয়ায় যেমন সফল হতে চাই, তেমনি পরকালেও জান্নাত নিশ্চিত করতে চাই।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করবে। এই বিপ্লবের অর্জন নস্যাৎ করতে পরাজিত শক্তির দোসররা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন শীর্ষ নেতাকে বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাদের তৈরি ব্যাংক, হাসপাতাল ফ্যাসিবাদের দোসরেরা লুট করে নিয়েছে। সেই ফ্যাসিস্টকে জনগণ আর বাংলার জমিনে দাঁড়াতে দিবে না। জামায়াতে ইসলামীর ২জন মন্ত্রী ২টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে ঘোষণা দিয়েছিলেন, যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে ২ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারে তবে শুধু মন্ত্রিত্ব নয় সংসদ সদস্য পদ এমনকি জামায়াতের সদস্যপদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা জামায়াতে ইসলামীর মন্ত্রীদের এবং এমপিদের কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করা তো দূরের কথা দুর্নীতির অভিযোগও তুলতে পারেনি।
ড. মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর হাতেই আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। ছাত্ররা `উই ওয়ান্ট জাস্টিস` স্লোগান দিয়েছে। ছাত্রদের সেই ন্যায়বিচারের দাবি কেবল ইসলামের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হবে। সেজন্য জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা সেক্টরসহ সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য দূর করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ইএইচ