“নয়া বাংলাদেশের সংবিধান ভাবনা: সংকট ও সম্ভাবনা” শিরোনামে আজ ১৫ই নভেম্বর, এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য সেমিনার আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বক্তব্য রাখেন।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ৭২এর যে যে সংবিধান আছে এটা না সংবিধান, না আইনের বই, না অন্য কিছু। এটা একটা জগাখিচুড়ি।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, চব্বিশের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আনইজিবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বলেন, ৭২ এর সংবিধান দিয়ে এই জুলাই-আগষ্টের অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিতে পারবেন না। বর্তমানে বেশ কিছু সংকট রয়েছে, যেমন, ঘুণে ধরা সমাজ, স্থবির প্রশাসন, অর্থনৈতিক সমস্যা। জুলাইয়ের শক্তিকে একত্রে কাজে লাগিয়ে এ সবকিছুর সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ৭২ এর সংবিধান যা ছিল সেটা এক ধরনের পুঁজিবাদী সংবিধান ছিল। সাধারণ মানুষদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারেনি। নতুন সংবিধানের ভাষা হতে হবে সর্ব সাধারণের ব্যবহৃত ভাষায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি এড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, ১৫ বছর সংবিধান একটা দল একটি পরিবার কে সুরক্ষা দেওয়া হলো। পুরোনো দলিল গণমানুষের সুরক্ষা দিতে পারে নাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মনিরা পারভীন বলেন, যা গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারে না, তা রাখার যৌক্তিকতা আছে কতটুকু!
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সংবিধান কিভাবে পরিবর্তন করবেন তা নির্ভর করবে নাগরিকদের চিন্তার উপর। পলিটিক্যাল দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন,সংবিধান সংশোধনী অবশ্যই কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী করতে হবে। সংবিধান জাতির পিতা নামে কিছু রাখা যাবেনা।প্রত্যেক নাগরিক কে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ১ বছরের ট্রেনিং দিতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন বলেন, যতদিন সংস্কার লাগে সংস্কার করেন, কিন্তু জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তাড়াতাড়ি করেন। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, দেশ উদ্ধাররই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিপ্লব একবার করেছি কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান।
আরএস