ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

প্রতিটি খেলার মাঠকে শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র করতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
প্রতিটি খেলার মাঠকে শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র করতে চাই

রাজধানীতে যুব উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে আজকে বাংলাদেশের তরুণ যুবকেরা সত্যিকার বিজয় উদযাপন করছে। খেলায় যেভাবে জয় পরাজয় রয়েছে এবং নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে আমরা যেভাবে সকল খেলায় অংশগ্রহণ করি, তেমনি একজন ঈমানদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে জান্নাতের উপযোগী হওয়ার টার্গেট নির্ধারণ করে জীবনযাপন করতে হবে। ডিসেম্বর মাসব্যাপী পুরো ঢাকা মহানগরী জুড়ে এই আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আমরা আজকে উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের নির্দেশনা মোতাবেক এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

শুক্রবার ধূপখোলা মাঠে যুব উন্নয়ন সংস্থা ঢাকার উপদেষ্টা মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে বিজয় দিবস ২০২৪ আন্ত:থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় যুব পরিচালক মো.কামরুল আহসান হাসান, মো. রুহুল আমিন, মুহাম্মদ বুরহানউদ্দীন, ৪৫ নং ওয়ার্ড যুব নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মো. রবিউল ইসলাম, নোমান শিকদার, মো. মুতাসিম বিল্লাহ,  গোলাম আজম, মো মাহফুজুর রহমান, মুকিত, মুকুল প্রমুখ।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র চোখ রাঙানি দেখায়! তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে এখন বাংলাদেশি প্রত্যেক নাগরিক কথা বলছে বলবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করে আমাদের তরুণ যুবকদের ধ্বংস করতে চায়। নৈতিকভাবে দুর্বল করে ফেলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে মাদক নেশা দ্রব্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে শেষ করে দিতে চায়। সেই সময়ে আমরা এই তরুণ যুবদের রক্ষায় হাতে ক্রিকেট ব্যাট বল, ফুটবল, ভলিবল, খেলাধুলার যাবতীয় সরঞ্জাম তুলে দিচ্ছি। দেশের প্রত্যেকটি সীমান্ত ব্যবহার করে তারা তাদের এদেশীয় সেবা দাসের সহযোগিতায় আমাদের তরুণ কিশোরদের হাতে মাদক অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। অথচ এই তরুণ কিশোরদের কাজ হচ্ছে ভিন্ন দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্র হতে তার মাতৃভূমিকে বাঁচাতে সৈনিকের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হওয়া। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি খেলার মাঠকে আমরা মাদকের পরিবর্তে শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

ড. মাসুদ বলেন, খেলায় আমরা যেভাবে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে অংশগ্রহণ করবো তেমনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিতে আমরা তৎপরতা চালাবো। আমাদের ভাষা আন্দোলনের বিজয়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় এবং সর্বশেষ জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার বিজয়কে অর্থবহ করতে প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহর দ্বীনকে এই বাংলাদেশে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী করা আমাদের মূল লক্ষ্য। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখার স্বার্থে এই তরুণ যুব সমাজকে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে আগামীতে দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যেককে সৈনিকের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, আজকের এই আয়োজন দেশের বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে। তরুণ যুবকদের দেশপ্রেমিক করে গড়ে তোলার প্রয়োজনে। প্রতিটি তরুণ কিশোরের মনে দেশের প্রতি তার দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার কাজে। আমরা চাই সুস্থ সবল দেহ মন যুব উন্নয়ন সংস্থার এই ধরনের কার্যক্রম। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার যেসকল ক্লাব দল এই বিজয় দিবস ২০২৪ আন্ত: থানা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে তাদের জন্য শুভ কামনা।

ইএইচ