‘ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই’— লংমার্চে বক্তারা

আখাউড়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
‘ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই’— লংমার্চে বক্তারা

ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে শেষ হয়েছে।

এ সময় এক সমাবেশ থেকে ভারতে প্রভুত্ব ছাড়ার বার্তা দিয়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

এদিন বেলা ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লংমার্চের গাড়িবহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে।

এদিকে কয়েকশো গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহমেদ ভুঁইয়া।

তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। এর আগে সকাল থেকে অন্তত ১০টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রেও প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল বুধবার এ লংমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে।

লংমার্চকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এস জিলানী। প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদল সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন- ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

বক্তব্য দেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম।

রাকিবুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এদেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দেব।’

নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পেড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। এটি অবমাননা। তারা প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্র নীতি কি হবে শেখায়। আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানির লাশ দেয় আর ফেন্সিডিল দেয়।’

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনচেতা। তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে প্রভু নেই। তারা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। সার্বভৌম প্রশ্নে এদেশের মানুষ প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে রাজি।’

ইএইচ