জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

জাতীয় জীবনে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
জাতীয় জীবনে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম

১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’— আমাদের জাতীয় জীবনে এ দুটি দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বলেন, আমরা সব শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমির এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দুটি দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন ওই সব শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে মুক্ত করেছেন। সেই সাথে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। নিহতদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসী আজ এমন এক সময় ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ও ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে মুক্ত করেছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুন থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে, শান্তিতে-স্বস্তিতে থাকার প্রয়াস পাচ্ছে এবং দেশ ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় পতিত স্বৈরাচারের দেশি-বিদেশি দোসররা আবার দেশকে নানা কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচারের দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা, র‌্যালি ও দোয়ার মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াতে আমির আরও বলেন, একই সাথে ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।

ইএইচ