৭১ ভুলে গেলে চলবে না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
৭১ ভুলে গেলে চলবে না: মির্জা ফখরুল

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেন জাতি ভুলে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বলেছেন, একাত্তরকে ভুলে গেলে চলবে না। একাত্তরকে পেছনে রাখতে বলা দেশের মূল ইতিহাস থেকে জাতিকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভোলা যাবে না। ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়।

শুক্রবার বিকালে শহীদ বুদ্দিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা করেন।

একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানসহ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এখন একটা প্রবণতা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একাত্তর একটু পেছনে রাখা। আমার মনে হয়, এটা আরেকটা ওই ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশের মূল ইতিহাস থেকে জাতিকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। যেমন ১৯৪৭ সালে পার্টিশনকে (দেশ ভাগ) অনেকে বলেন যে, এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো।’

তিনি বলেন, এখন আবার একটা বিষয় লক্ষ্য করছি যে, একাত্তর সালকে পেছনে রাখা। আমরা মনে করি এটা ইতিহাস বিকৃতির একটা চেষ্টাৃএটার কোনো প্রমাণ নেই আমার কাছে, এটা মনে হয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদেরকে মূল যে ইতিহাস, আজকে এই স্বাধীন বাংলাদেশ, আজকে ইতিহাস নিয়ে এসে আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সেই ইতিহাস যেন বিকৃত না করি। গত ১৫ বছর ধরে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ঠিক তেমনি করে এখন যাতে ইতিহাস বিকৃত না হয় সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

বক্তব্যে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আপনাদের সামনে অনেক কাজ। অনেকে মনে করেছেন যে হাসিনা পালিয়ে গেছে কাজ শেষ হয়ে গেছে। না, কিছুক্ষণ আগে আমাদের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলছিলেন যে, যে আমাদের এই আন্দোলন চলবে নির্বাচন পর্যন্ত।

ফখরুল বলেন, ‘না না এই নির্বাচনের পরে আরও বহু বহু দিন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা একটা গণতন্ত্র সংস্কৃতিতে পরিণত করতে পারব, কালচারে পরিণত করতে পারব এটা একটা ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াবে ওই জায়গায়তে আমাকে পৌঁছাতে হবে। তাই আমাদের কাজ অনেক বেশি আছে।’

ইএইচ