বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ১৬ বছর আমাদেরকে লড়াই করতে হয়েছে, আমরা কেউ রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি নাই।
রোববার বিকালে কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বলেন, আমরা আমাদের বহু ভাইকে হারিয়েছি। শেখ হাসিনা ১৬ বছর জোর জবরদস্তি করে দেশের ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলো। খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলো। অন্যায়ভাবে তারেক রহমানকে একের পর এক মামলা দিয়েছিলো। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে। ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে তুলে নিয়ে যেত পুলিশ।
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে আমরা ভেবেছিলাম এদেশে আর স্বৈরাচার আসবে না। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনসহ শেখ হাসিনা শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করেছেন। নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ কারণের জন্য হলেও তার হাজার বছরের জেল হওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিকভাবে মারা গেছে তাদের আর ফিরে আসবার সুযোগ নাই। যেমন মরা মানুষ ফিরে আসে না। বিএনপি হচ্ছে অবিনাশী রাজনৈতিক দল। সব কিছু ধ্বংস করা যাবে, বাংলাদেশে বিএনপিকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অন্যের দিকে নখ তুলার আগে আয়নায় আপনাদের নিজেদের চেহারা দেখুন। না হয় ওই নখ আমরা কেটে দিবো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বন্ধ করুন।
এর আগে রোববার সকালে জেলা শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এ
তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল`র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাজী ইসরাইল মিয়ার সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্য সচিব হাজী ইসরাইল মিয়া কাউন্সিলে লড়েন। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করেন।
ইএইচ