একপক্ষের বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর অপরপক্ষের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার রাতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন মহল দেশবিদেশে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল, ব্যর্থ ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টায় মত্ত। তারই ধারাবাহিকতায়, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্ট চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আমরা আহত হওয়া ভাই-বোনদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি এবং এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারী সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েমের লক্ষ্যে বাঙালি, আদিবাসী ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নাম দিয়ে দেশে জাতিগত বিভাজন তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছিল, যা ছিল বিদেশি চক্রান্তের অংশ। ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) ফ্যাসিবাদ পতনের মধ্য দিয়ে সেই বিভাজনের রাজনীতির অবসান হয়েছে। নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের আগে আমাদের অভিন্ন পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। আমরা এর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছি। তাই আমরা সকল পক্ষকে আবারও দেশবিরোধী চক্রান্তে পা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। একইসাথে পাঠ্যবইয়ে সূক্ষ্মভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উপাদান যুক্ত করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দিয়ে যেকোনো মতপার্থক্যের গঠনমূলক সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি। ঘেরাও কর্মসূচি, হামলা, লাঠিসোঁটার প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ সুস্থ প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।
ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন ছবি দেখে এই হামলায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে অতিসত্বর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানাই।’
ইএইচ