সংবিধানে কিছু মৌলিক পরিবর্তন দরকার। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না; প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে- এসব বিষয়েও সংস্কার প্রয়োজন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ন মিশন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করা উচিত হবে না। সংস্কার কমিটির জন্য যেসব পরামর্শ এসেছে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করে তা প্রয়োগের পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
৫ আগস্ট নির্বাচন চাচ্ছে বিএনপি- এ বিষয়ে জামায়াতের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি বড় দল। তাদের নির্বাচনের বিষয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আসছে। আমরা চাই পর্যাপ্ত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এখনো আমাদের কোনো স্ট্যান্ড নেই। আমরা পর্যালোচনা করছি।
আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারবে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে নির্বাচনে অংশ নেবে না নেবে এ বিষয়ে আমরা বলেছি, আমাদের আইনি বিষয়ে কোনো স্ট্যান্ড বা পরামর্শ নেই। এটা জনগণ, সামাজিক ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ বিষয়েও জনগণ ও দেশের চিন্তার ওপর নির্ভর করবে।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটি থেকে বলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে- এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের প্রাণের দাবি। এই দাবি জামায়াত করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা সংবিধান থেকে উঠিয়ে নিয়েছিল।
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, নির্বাচনে ইউএনডিপি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে এবং তা সমর্থন করি কি না তা জানতে চেয়েছিল প্রতিনিধিদল, আমরা বলেছি আমরা যে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে স্বাগত জানাই সহযোগিতার জন্য, কিন্তু ইন্টারফেয়ার করার জন্য নয়। তারা যদি টেকনিক্যাল এবং ফান্ডিংয়ে সহযোগিতা করে তার জন্য আমরা তাদের ওয়েলকাম জানাই।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ দরকার। এ ক্ষেত্রে বড় অর্থের প্রয়োজন। আমরা এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছি। এছাড়া নির্বাচন কখন হতে পারে এ বিষয়ে আমরা তাদের জানিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আগের মতো ফেয়ার না হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে দলটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রেস ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস