মানব রচিত আইনে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষ কেন স্বাধীনতা খোঁজে, কেন অধিকার আদায়ে জীবন ও রক্ত দিতে হচ্ছে?- কারণ মানুষের তৈরি আইন কেবল ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে তৈরি করা হয়। যারা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সুবিধার জন্য আইন তৈরি করে পালিয়ে গেছে তাদের ঐ আইন বাতিলের পক্ষে তারাই সমর্থন দিচ্ছে না যারা পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে ঐ একইভাবে লুটপাট, জুলুম, নির্যাতন করবে।
তিনি বলেন, অবশ্য কেউ কেউ ক্ষমতায় বসার আগেই গত ৫ আগস্ট থেকে নিজেদেরকে ক্ষমতায় আছে ভেবে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বে নিয়োজিত রেখেছে। আর তারাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের তৈরি সংবিধান বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মানুষের তৈরি আইনে সমাজে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি হবেও না।
গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বংশাল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত আদর্শ সমাজ বিনির্মান শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বংশাল দক্ষিণ থানা আমীর মাহবুবুল আলম ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নুরে আলম সিদ্দিকী’র পরিচালনায় স্থানীয় এক পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি এফবিসিসিআই’র পরিচালক বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাফেজ এনায়েত উল্লাহ, চকবাজার-বংশাল জোনের সহকারী পরিচালক এস এম আহসান উল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবু হুরায়রা, মাওলানা তাজুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের জন্য ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, নামাজ যার নির্দেশে আদায় করা হয়, দ্বীন কায়েম করাও তারই নিদের্শ। এটি মানুষের উপর ফরজ বিধান। এই বিধান কায়েম না করে, যারা মানুষের তৈরি আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে তারা প্রকৃত ইমানদার নয়। আল্লাহর ঘোষণা, তাদের দুনিয়া ও আখেরাত ক্ষতিগ্রস্ত। আসন্ন রমজান পালনের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি আর প্রতিযোগিতা নিজের মাঝে কাজ করে, দ্বীন কায়েমের জন্যও নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে, রাখতে হবে। নিজেদেরকে এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের সাথে সাথে মানব রচিত মতবাদেরও কবর রচনা হয়েছে। কবর রচনা করেই নতুন বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ গঠন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এখনই ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের সুযোগ কাজে না লাগাতে পারলে ক্ষমতা লোভীরা কিন্তু সেই সুযোগ লুপে নিতে চেষ্টা করবে। তাদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে আবারো এদেশের মানুষকে তারা শোষণ করবে। আবারও মানুষকে জীবন ও রক্ত দিতে হবে। তাই আর কোনো সংঘাত নয় এই প্রত্যয়ে আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হতে হবে।
বিআরইউ