মাইনুল ইসলাম পলাশকে ছাত্রশিবির থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ১১:১২ এএম
মাইনুল ইসলাম পলাশকে ছাত্রশিবির থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা শাখার ‘সাথী’ ও উপজেলা সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল জেলার ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) ও এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নলচিড়ার ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে এক সৌদি প্রবাসীর বসতঘর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রশিবির সবসময় সদস্যদের ইসলামী নৈতিকতা ও চারিত্রিক উৎকর্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তবে মানবিক দুর্বলতার কারণেও কেউ সংগঠনের আদর্শের বাইরে চলে যেতে পারে। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গৌরনদী উপজেলার উক্ত ঘটনার পর সংগঠন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

মাইনুল ইসলাম পলাশের সাংগঠনিক দায়িত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয় এবং বরিশাল জেলা সেক্রেটারির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, যদিও পুলিশ হেফাজতে থাকার কারণে মাইনুলের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, তবে অন্যান্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরবর্তী জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ছাত্রশিবির স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, সংগঠনের পরিসীমার মধ্যে কোনো ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ কখনোই প্রশ্রয় পাবে না। সংগঠন নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বরাবরই কঠোর অবস্থান নেয়।

এ ঘটনার বিষয়ে ছাত্রশিবিরের বরিশাল জেলা শাখার পক্ষ থেকে এটাই অফিসিয়াল বক্তব্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন মন্তব্যের সাথে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যেকোনো বিষয়ে যাচাই ছাড়া তথ্য প্রচার না করতে এবং দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইএইচ