নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ইসিতে আবেদন এনসিপির

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ইসিতে আবেদন এনসিপির

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক এবং সিইসির একান্ত সচিব আশ্রাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘নিবন্ধনের আবেদনের জন্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত স্বল্প। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো প্রয়োজন।’

চিঠিতে অতীতের নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হওয়া নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, ‘বিগত সরকার ও তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশন তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো দলীয় প্রতীকে বিতর্কিতভাবে পরিচালনা করেছে, যার ফলে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এনসিপির দাবি, ‘ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের’ ধারাবাহিকতায় গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই। এর মধ্যেই ১০ মার্চ কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা ‘সংস্কার ছাড়াই ত্বরিত পদক্ষেপ’ হিসেবে চিহ্নিত করে চিঠিতে সমালোচনা করা হয়েছে।

চিঠিতে ২০০৮ সালের নিবন্ধন বিধিমালাকেও ‘অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, এটি রাজনৈতিক বহুত্ববাদ সংকুচিত করে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

তারা মনে করে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যালয় স্থাপনের কঠোর শর্ত শিথিল করা এবং পাঁচ বছরে একবার করে দলগুলোর নিবন্ধন নবায়নের বাধ্যবাধকতা আরোপই হতে পারে গ্রহণযোগ্য পথ।

চিঠির শেষাংশে বলা হয়, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নতুন দল নিবন্ধনের মানদণ্ড যুগোপযোগী করা এবং কমিশনের কাঠামো পুনর্গঠন ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নিবন্ধনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে প্রক্রিয়াটি কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে।’

বিআরইউ