আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হবে মন্তব্য করে বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা ও প্রত্যাশাকে মাথায় রেখে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। তরুণরা কী চান, সেটা বুঝে তাদের মন জয় করতে হবে।
মহান মে দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমিনুল হক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও কঠিন। সেই নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাদের চাহিদা ও চিন্তাভাবনাকে সম্মান জানিয়ে আমাদের রাজনীতি সাজাতে হবে। তরুণরা কী চান, সেটা বুঝে তাদের মন জয় করতে হবে।’
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শিক্ষিত বেকারদের ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বিকৃত ইতিহাস সংশোধন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ আছে। এ বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে আমিনুল হক বলেন, ‘দলের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা দ্বন্দ্ব-ভ্রান্তি বরদাশত করা হবে না। কেউ চাঁদাবাজি বা দখলদারিতে জড়ালে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ছোট্ট একটি ভুলও গত ১৭ বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষার রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই সবাইকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।’
সভায় মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আমিনুল হক রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ছাত্র যুব শক্তির আয়োজনে ঈদ ও বৈশাখী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে গণশুনানি, রাস্তার কাজ উদ্বোধন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আরএস