আড়াই বছর পর পবিত্র কাবার বেষ্টনী অপসারণ

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ১১:০২ এএম
আড়াই বছর পর পবিত্র কাবার বেষ্টনী অপসারণ

দীর্ঘ দুই বছর ৫ মাস পর পবিত্র কাবা শরিফের চারপাশের বেষ্টনী অপসারণ করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে হজ ও ওমরাহযাত্রীরা কাবা শরিফ, হাজর আল আসওয়াদে চুম্বন এবং হাতিমে প্রবেশাধিকার ফিরে পাবেন।

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যখন বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে তখন কাবা শরিফ যেন কেউ স্পর্শ করতে না পারে এজন্য স্থাপন করা হয় ব্যারিকেড। এই সময়ে কেউ পবিত্র হাজরে আসওয়াদেও চুমু খাওয়ার সুযোগ পাননি। এর মধ্যে যারা হজ ও ওমরা করেছেন তারা কাবাঘর থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে তওয়াফ করেন।

হারামাইনের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে জানানো হয়, এখন থেকে জিয়ারতকারীরা কাবাঘর স্পর্শ করতে কোনো বাধা থাকবে না। এছাড়া ওমরাকারীদের করোনা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করা হয়েছে। শুধু টিকার সনদ দেখালেই ওমরা করতে পারবেন।

দীর্ঘদিন পর কাবা স্পর্শের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত জিয়ারতকারীরা। ছবি: সংগৃহীত
গত ৮ জুলাই মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে দুই বছর পর সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবারের হজ। প্রায় ১০ লাখ লোকের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় এবারের হজ। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ হজযাত্রী নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। হজের পরপর ওমরা ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাকারীরা পবিত্র কাবাঘর জিয়ারতে যাচ্ছেন।  

গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে হজে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। ২০২০ সালে সৌদি আরবে বাসকারী মাত্র এক হাজার মানুষ পেয়েছিল হজের অনুমতি। গত বছর সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় অনুমতি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার মুসলিম। এবার বিশ্বের অন্তত ১০ লাখ মানুষ অংশ নেন হজে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এবারের হজে অংশ নেন। মোট অংশগ্রহণকারীর ৮৫ শতাংশই বিদেশি নাগরিক।