মানুষের জীবনে প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা-ভক্তি ও সমাজবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে থাকা স্বভাবজাত বিষয় বলে পরিগণিত। এসব আছে বলেই নশ্বর পৃথিবী এখনো ভালোভাবে টিকে আছে।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর অন্যতম একটি নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকো। এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও অনুগ্রহ সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল মানুষের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে।’ (সুরা রুম: ২১)
আমাদেরকে মার্জিত আচরণ ও বিনয়ী চলাফেরা করার বিষয়ে উৎসাহ দেয় ইসলাম। কোনো ধরনের অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ইসলামে অনুমোদিত নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী, বলো, আমি তোমাদের ওসব বিষয় পাঠ করে শোনাচ্ছি, যা তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য হারাম করেছেন।
তা হলো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার কোরো না, মা-বাবার সঙ্গে সদয় ব্যবহার করো, সন্তানদের দারিদ্র্যের কারণে হত্যা কোরো না, আমি তোমাদের ও তাদের আহার দিই, নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য।’ (সুরা আনআম: ১৫)
বিশেষ করে বিজাতীয় কালচার অবাধে গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কোনো জাতির আচার-আচরণে, কৃষ্টি-কালচারে সামঞ্জস্যতা অবলম্বন করবে, সে তাদের দলভুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।’ (আবু দাউদ: ৪০৩১; মিশকাত: ৪৩৪৭)
তাই দিবস পালনের নামে হোক বা অন্য কোনো উপায়ে হোক, অশ্লীলতার প্রসারের অনুমোদন নেই। ভালোবাসা একটি পবিত্র বন্ধন। এর সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি বাতলে দিয়েছে ইসলাম। খুবই সুন্দর ও মার্জিত পন্থায় নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণ ও বন্ধনের পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়েছে।
বিয়ের মাধ্যমেই নারী-পুরুষের পারস্পরিক প্রেম, ভালোবাসা ও যুগল জীবনযাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তরুণদের স্বাবলম্বী হওয়ারও উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। সে পথেই তরুণদের অগ্রসর হওয়া আবশ্যক।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক