বিদায়ের পথে মাহে রমজান

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
বিদায়ের পথে মাহে রমজান

মাহে রমজান বিদায়ের পথে। তারাবি নামাজের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছিল পবিত্র কোরআনুল কারীম পাঠ/তেলাওয়াত (খতম)। মাহে রমজানের প্রথম দশক পার হয়েছে, দ্বিতীয় দ্বিতীয় দশকও শেষ । এখন চলছে তৃতীয় দশক অর্থাৎ শেষ দশকও বিদায়ের পথে। ২৭ তারিখের বেজোড় রাত্রি, যাকে আমরা শবে কদর নামে চিনি, সেটাও পার হয়েছে।

একে একে রোজা গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজ ২৮ রমজান। এবার রোজা যদি  ২৯ টি হয়, তাহলে কিন্তু আর মাত্র ১ টি রোজা বাকী। আর ৩০ হলে ২ টি। মানে একেবারে বিদায়ের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছে গেছে মাহে রমজান। আর ১/২ দিন পরেই শেষ হয়ে যাবে এই মোবারক মাহে রমজান।

বড় চিন্তার বিষয়, রমজান তো বিদায় নিচ্ছে আমাদের থেকে। কি অর্জন করতে পারলাম আমরা। আমরা কি এই মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করতে পেরেছি? আমরা কি যথাযথ ভাবে রোজা গুলো রাখতে পেরেছি?
মাহে রমজান তো এসে ছিল সিয়াম-সাধনার জন্য। সিয়ামের আদব রক্ষা করে কি আমরা চলতে পেরেছি?
এই রোজার মাসটা ছিল গোনাহ মাফের মাস। গোনাহ মাফের জন্য কতটুকু রোনাজারি করেছি আমরা?

আসলে হিসেব মিলাতে গেলে ফলাফল কতটুকু আমাদের অনুকূলে থাকবে সেটা আল্লাহ ভাল জানেন।
তবে এই মাহে রমজানের বিদায়ে আমরা কিন্তু  বড় ফজিলতের দিন গুলো হারাতে যাচ্ছি। আর হয়ত দু-দিন। এরপর এক বছর আর নাগালে পাওয়া যাবে না রমজানকে।আবার একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে মাহে রমজানের জন্য। আগামী এক বছর বাদে আবার আমরা রমজান পাব,সেটার কি কোন গ্যারান্টি আছে? বলুন তো, গত বছর রমজানে যাদের সাথে রোজা রেখে ছিলেন, তারাবীহ পড়ে ছিলেন, এক সঙ্গে ইফতার করে ছিলেন, তারা সবাই কি এ বছর আছেন , পেয়েছেন?

আবার এ বছর যাদের সাথে রোজা রাখলেন।, এক সাথে সাহরি, ইফতার করলাম, আগামী বছর  তাদের সকলকে কি আমরা পাব, পাওয়া যাবে? সত্য বলতে কি, মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই। যে কোন সময় মানুষ কবর পথের যাত্রী হতে পারে। দুনিয়ার ভোগ বিলাস ছেড়ে পরপারে চলে যেতে হবে। ক্ষণস্থায়ী জীবনের কোন ভরসা নেই। সময় থাকতে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব স্বীকার করে নিতে হবে।

তাই আসুন! আর মাত্র দুটো দিন। বরকতের দিন এবং রাত বিদায় নিতে চলেছে। এই দুটো দিনকে কাজে লাগাই। মহান আল্লাহর হুকুমের তাঁবেদারি করি। তাঁর কাছে অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে ফরিয়াদ করি।
হে আল্লাহ! এই মাহে রমজান চলে যাচ্ছে, তুমি আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের জান্নাত দান কর, এবং জাহান্নাম থেকে আমাদের বাঁচাও। আমাদের রোজা,সাহরি, ইফতার, তারাবি সহ অন্যান্য আমলগুলো  কবুল করুন, আমিন।

লেখক: গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ধর্ম ও সমাজ বিশ্লেষক, কুমিল্লা।

 

বিআরইউ