গুগল, টুইটার, অ্যামাজন ও ফেসবুকের পর বড় ধরণের কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে কম্পিউটার সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। মানবসম্পদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১১ হাজার কর্মী কাটছাঁটের পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।
স্কাই নিউজ জানায়, সারাবিশ্বে মাইক্রোসফটের মোট কর্মী সংখ্যার অন্তত ৫ শতাংশ কাজ হারাতে পারে।
অ্যামাজন এবং মেটা প্লাটর্ফমসহ কোম্পানিগুলোর চাহিদা হ্রাসের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে মাইক্রোসফ্ট। মাইক্রোসফ্টের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দেয় যে প্রযুক্তিখাতে কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে।
মর্নিংস্টার বিশ্লেষক ড্যান রোমানফ বলেছেন, সম্প্রতি মাইক্রোসফ্টের এই ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইঙ্গিত দেয় যে প্রযুক্তি সেক্টরের উন্নতি হচ্ছে না এবং সম্ভবত আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
ব্মলুবার্গ নিউজ জানিয়েছে, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত বেশ কয়েকজনের চাকরি ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গত বছরের অন্যান্য রাউন্ডের তুলনায় চলতি বছরের কাটছাঁট বেশি হবে। তবে মাইক্রোসফ্ট এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়োগকারী কর্মীদের এক-তৃতীয়াংশ কমাতে পারে মাইক্রোসফ্ট।
ফাইলিং অনুসারে, ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির ২ লাখ ২১ হাজার পূর্ণ সময়ের কর্মচারি ছিল। যার মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং ৯৯ হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ছিল।
আসলে মাইক্রোসফ্ট তার ক্লাউড ইউনিট Azure-এ বৃদ্ধির হার বজায় রাখার জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে। কম্পিউটার বাজারে মন্দার কারণে উইন্ডোজ এবং ডিভাইস বিক্রি কমেছে।
এর আগে ২০২২ সালেও ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে মাইক্রোসফট। সংস্থার ২ লাখ কর্মীর মধ্যে সে যাত্রায় কাজ হারিয়েছিলেন ১ শতাংশ কর্মী।
এআরএস