প্রতিমন্ত্রী পলক

রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ১০:২৭ এএম
রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে

‘রেমিট্যান্স না পাঠালে দেশে আসতে দেওয়া হবে না’- এমন একটি মিথ্যা তথ্য ও গুজব সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ধরনের গুজব ও অপপ্রচার বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

জুনাইদ আহমেদ পলক লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকার সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আমাদের সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সকল ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অপপ্রচারকারীদের রুখতে হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে StopPropaganda, PreventPropaganda, Propaganda, গুজব, গুজব_রোধকরি, গুজব_বন্ধকরি, গুজব_বয়কটকরি’ কথা লিখেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে ফেসবুক, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি লিখেছেন, ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলে না। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয়। অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিওতে প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এদিকে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে গুজব, অপপ্রচার, উসকানি ও সহিংসতামূলক প্রচার-প্রচারণা ঠেকাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, ফেসবুক-টিকটক কর্তৃপক্ষের কাছে তার জবাব চাইবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তারা জবাব না দিলে অথবা তা সন্তোষজনক না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি।

বিআরইউ