কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বে দলের জয় খরা কাটাতে চান বাংলাদেশ কোচ। ২০ ওভারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৭টি। এর মধ্যে ৬টি জয়ই প্রাথমিক পর্বে। সেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল খুবই রুগ্ন। প্রাথমিক রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর কোন রকমে মূল পর্বে পা রেখে একটিও ম্যাচ জেতেনি মাহমুদউল্লাহর দল।
সবচেয়ে বড় কথা টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ভাষাটাই এখন রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের আগে জানালেন, ওয়ানডে নয় তাদের মূল ফোকাস এখন ২০ ওভারের ক্রিকেটকে ঘিরে, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি আছে ১৫ মাসের মতো। অনেক ম্যাচও খেলব তার আগে। কাজেই আমাদের সব মনোযোগ থাকবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে।'
প্রধান রাসেল ডমিঙ্গোও সেটা জানেন ভালোভাবেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগে গায়নায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কোচ বললেন, সামনে টি-টোয়েন্টিতে ডুব দিতে হবে দলকে এবং এবার ইতি টানতে হবে ব্যর্থতার ধারায়।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার নানা কারণ আলোচিত হয়ে আসছে নানা সময়ে। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ ডমিঙ্গোর মতে, প্রত্যাশার ভার।
টি-টোয়েন্টিতে এখনো জুতসই সমন্বয় খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। এই অবস্থায় বড় স্বপ্ন নেই। বাংলাদেশ কোচ তাকিয়ে মোটামুটি মানের ফলের দিকে। তিনি টের পাচ্ছেন আবার একই বেহাল দশা হলে তারা পড়বেন প্রবল সমালোচনার তোড়ে, 'বিশ্বকাপে ভালো ক্রিকেট খেলা লাগবে।
স্কিলসেট আমাদের ভাল, বোলিং আক্রমণ ভাল। বিশ্বকাপের মতো আসরের চাপ সামলাতে হবে। বাংলাদেশের মতো ক্রিকেট পাগল দেশে ক্রিকেটাররা চাপ অনুভব করে।'
'খারাপ করলে মিডিয়া, দর্শক সবাই কাটাছেঁড়া করবে। কাজেই এই চাপ সামলাতে হবে। সব মনোযোগ রাখতে হবে নিজেদের খেলায়।'
উল্লেখ্য’ আগামী ১৬ অক্টোবর শুরু হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
আমারসংবাদ/টিএইচ