বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এসেছিল ২৯ ওভারে। এমন ম্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে ইংল্যান্ড। ২০২ রানের টার্গেট দিয়ে দ. আফ্রিকাকে উড়িয়েছে ১১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। এর ফলে ইংল্যান্ড সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে।
শুক্রবার ম্যানচেস্টারে আগে ব্যাট করতে নেমে ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০১ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। স্বল্প রানের টার্গেট দিয়ে ইংলিশরাও বোলিংয়ে দ্বিগুণ ধার দেখায়।
আদিল রশিদ, মঈন আলীদের আলো ছড়ানো বোলিংয়ে মাত্র ৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যা ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাউথ আফ্রিকা। ১২ ওভারে ৭২ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জশ বাটলারের দল।
খাদের কিনারা থেকে লিয়াম লিভিংস্টোন ও স্যাম কারেন দলকে টেনে তুলে ২০১ রানের লিড এনে দেন। লিভিংস্টোন খেলেন ২৬ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। আর স্যামের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩৫ রান।
দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস নেন ৪ উইকেট। অ্যানরিচ নর্টজে ও তাবরেজ শামসি দুটি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। রিস টপলি একই ওভারে ফিরিয়ে দেন ইয়ানেমান মালান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাসি ফন ডার ডুসেনকে।
ডেভিড উইলির পরের ওভারে ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি কক, আর এইডেন মার্করাম রান আউট হয়ে ফিরে যান। ডি কক ছাড়া বাকিদের কেউ রানের খাতা খুলতে পারেননি। পঞ্চম উইকেটে হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার ২১ রান তোলেন।
মিলার ১২ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ক্লাসেন। প্রিটোরিয়াস ১৭ রানে আউট হন। দলীয় সর্বোচ্চ রান আসে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। ৪০ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করেন তিনি। আর কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ১১৮ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস।
২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার লেগ স্পিনার রশিদ। টপলি ও মইন নেন ২টি করে উইকেট। আগামী রোববার লিডসে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২৮.১ ওভারে ২০১ (রয় ১৪, বেয়ারস্টো ২৮, সল্ট ১৭, রুট ১, মইন ৬, বাটলার ১৯, লিভিংস্টোন ৩৮, কারান ৩৫, উইলি ২১, রশিদ ১২, টপলি ১*; মহারাজ ৬-০-২৯-১, এনগিডি ৫-০-৩৯-০, নরকিয়া ৫.১-০-৫৩-২, প্রিটোরিয়াস ৬-০-৩৬-৪, শামসি ৬-০-৩৯-২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (২৯ ওভারে লক্ষ্য ২০২) ২০.৪ ওভারে ৮৩ (ডি কক ৫, মালান ০, ফন ডাসেন ০, মারক্রাম ০, ক্লাসেন ৩৩, মিলার ১২, প্রিটোরিয়াস ১৭, মহারাজ ১, নরকিয়া ৬, এনগিডি ০, শামসি ৫*; টপলি ৪-০-১৭-২, উইলি ৪-১-৯-১, কারান ২-০-৫-১, রশিদ ৬-১-২৯-৩, মইন ৪.৪-১-২২-২)
ফল: ইংল্যান্ড ১১৮ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম দুটির পর ১-১ সমতা
ম্যাচ সেরা: স্যাম কারান।
আমারসংবাদ/টিএইচ