শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে আজ পর্দা উঠছে ১৫তম এশিয়া কাপের। দুবাই স্টেডিয়ামে আজ রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। শুরু ও শেষ একই মাঠে, দুবাই স্টেডিয়ামে।
এর আগে ২০১৮ সালে গত আসরটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল আরব আমিরাতেই। সেবার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ ও ভারত। টাইগাররা ৩ উইকেটে সে ম্যাচটি হেরেছিল। এবারের আসরে এশিয়ার মোট ৬টি দল অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং— এ ছয় দেশকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। হংকং সুযোগ পেয়েছে বাছাইপর্ব খেলে। বাকি ৫টি দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আগেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর ও হংকংকে নিয়ে ২০ আগস্ট ওমানে বাছাইপর্ব শুরু হয়েছিল।
সেই বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়েছে হংকং। গ্রুপ ‘এ’তে ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে আছে হংকং। গ্রুপ ‘বি’তে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সঙ্গে আছে আফগানিস্তান। দুই গ্রুপের প্রতিটি দল একে অন্যের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দু’দল উঠবে সুপার ফোরে।
যেখানে প্রতিটি দল আবার অন্য দলগুলোর মুখোমুখি হবে একবার করে। এদিকে এ আসরের আগে ২০১৬ সালে একবার টি-টোয়েন্টির এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়া কাপের দুদিন পরই শুরু হয়েছিল সে বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে কথা মাথায় রেখে সংস্করণ পরিবর্তন করা হয়েছিল।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বকাপের ফরম্যাটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এশিয়া কাপের সংস্করণ নির্ধারণ হবে, সে জন্যই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের আসরটি হচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের। উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল ৩৮ বছর আগে, ১৯৮৪ সালে।
সেবার এ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল ৩টি দল ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। রাউন্ড রবিন পদ্ধতির সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সুনীল গাভাস্কারের ভারত। আর শ্রীলঙ্কা হয়েছিল রানার্সআপ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসরে।
সেবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ভারত। যে কারণে সেবারও দল ছিল ৩টি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। গাজী আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবগুলো ম্যাচই হেরেছিল। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে চার দল অংশ নিয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ আয়োজন করে সেবারই। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত এশিয়া কাপ আয়োজনের ধারাবাহিকতা ছিল না। তবে এর পর থেকে দুবছর পরপরই এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে এসিসি। যদিও ২০২০ কোভিডের কারণে এশিয়া কাপ মাঠে গড়ায়নি।