বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেল ভারতের। আজ ভারতের বাঁচা মরার লড়াই ছিলো শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আগের ম্যাচ পাকিস্তানের কাছে লজ্জা জনকভাবে হেরেছিল ইন্ডিয়া। সেই হারের কষ্ট কাটিয়ে না উঠতে শ্রীলঙ্কার কাছে ফের হেরে গেলো ইন্ডিয়া।
নাটকীয়তার কোনো কমতি ছিল না আজকের এই ম্যাচে। একবার শ্রীলঙ্কার দিকে মোড় নিয়েছে তো একবার ভারতের দিকে। ভারতের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ওভারে পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। এ হারে এশিয়া কাপ থেকে এক প্রকার ছিটকে গেল ভারত।
ভারতের দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দুজনে পাওয়ার প্লে-তে যোগ করেন ৫৭ রান।
দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ৩৭ বলে ৫২ রান করে নিশাঙ্কা ক্যাচ দেন যুজবেন্দ্র চাহালের বলে। পরের বলে চারিথ আসিলাঙ্কাকে শূন্য রানে ফেরেন চাহাল।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া লঙ্কাকে বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন দানুস্কা গুনাথিলাকা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ দেন ১ রান করে। গুনাথিলাকার ফেরার পরের ওভারেই মেন্ডিসকে ৫৭ (৩৭) রানে ফেরান চাহাল।
১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর বিপদের মুখে ৩৪ বলে ৬৪ রানের অনবদ্য জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান ভানুকা রাজাপাকসা ও দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত এক বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন দুজনে। রাজাপাকসে করেন ২৫ (১৭) ও শানাকা করেন ১৮ বলে ৩৩ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান বোলারদের তোপে পড়ে ভারত। মাত্র ১৩ রানে লোকেশ রাহুল (৬) ও বিরাট কোহলিকে (০) ফিরতে হয় সাজঘরে।
তবে রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ৯৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। জুটি ভাঙার আগে ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। যাদবের ব্যাটে আসে ৩৪ রান। ১৭ রান করে আসে হার্দিক পান্ডীয়া ও পান্তর ব্যাটে। শেষ দিকে অশিনের ১৫ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ভারত।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ উইকেট নেন দিলশান মাধুশাঙ্কা। ২টি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে ও দাসুন শানাকা। ১টি উইকেট নেন মাহেশ থেকশানা।
ইএফ