এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে `ড্রেস রিহার্সাল` ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তান। অল্প রানে অল-আউট হওয়ার পর ১৮ বল বাকি থাকতেই তারা হেরে গেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে।
এই জয়ে রোববারের ফাইনালের আগে দারুণ আত্মবিশ্বাস পেল শ্রীলঙ্কা। আজও মাঠে তাদের টিম স্পিরিট ছিল দেখার মতো। টুর্নামেন্টের আন্ডারডগ দলটি এখন শিরোপার বড় দাবিদার।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল ভীতিকর। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই দলীয় ১ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের শিকার হন কুসল মেন্ডিস (০)।
স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই দানুশকা গুনাথিলাকাকে (০) মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি করেন হারিস রউফ। ২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ২৭ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলান পাথুম নিশাঙ্কা এবং ধনাঞ্জায় ডি সিলভা। ১২ বলে ৯ রান করা ধনাঞ্জয়াকে বাবর আজমের তালুবন্দি করেন হারিস রউফ।
এরপর আবারও জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। নিশাঙ্কার সঙ্গী হন ভানুকা রাজাপাক্ষে। ৩৯ বলে ৫১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙে ভানুকার বিদায়ে। ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রান করেন ভানুকা। ৪১ বলে ক্যারিয়ারের ৭ম ফিফটি তুলে নেন নিশাঙ্কা।
এরপর অধিনায়ক শানাকা ১৬ বলে ২১ রানে যখন ফিরেন, শ্রীলঙ্কা তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। মোহাম্মদ হাসনাইনকে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ৩ বলে অপরাজিত ১০* রান করা হাসারাঙ্গা। নিশাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৫৫* রানে। ১৮ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.১ ওভারে মাত্র ১২১ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। দলীয় ২৮ রানে টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ ব্যাট করা মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরেন ১৪ বলে ১৪ রান করে। এরপর ৩৫ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দিতে চেষ্টা করেন বাবর আজম (৩০) এবং ফখর জামান (১৩)। সেই জুটি ভাঙতেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।
ইফতেখার (১৩), খুশদিল শাহ (৪), মোহাম্মদ নওয়াজ (২৬) হাসান আলী (০), উসমান কাদির (৩) এবং হারিস রউফ ১ রান করেন। হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে আসিফ আলী আজ `গোল্ডেন ডাক` মারেন। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মহিশ থিকশানা এবং অভিষিক্ত প্রমোদ মাধুশান।