টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেছে অন্যতম শক্তিশালী দল পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ম্যাচে বাবর আজমরা হেরে গেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে। দু’টি ম্যাচেই শেষ বলে হারতে হয়েছে তাদের। পর পর দু’টি ম্যাচে হারার পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের সামনে শেষ চারে ওঠার লড়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখনও তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে সেমিফাইনালে খেলার। সেজন্য কিছু সমীকরণ রয়েছে। এক্ষেত্রে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকেও। বাবরদের শেষ চারে যাওয়ার জন্য কী কী সমীকরণ রয়েছে, আসুন দেখে নেওয়া যা।
১. পাকিস্তানের খেলা বাকি নেদারল্যান্ডস (৩০ অক্টোবর), দক্ষিণ আফ্রিকা (৩ নভেম্বর) এবং বাংলাদেশের (৬ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। তিনটি ম্যাচেই জিততে হবে বাবরদের। শুধু তাই নয়, তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে পাকিস্তানকে।
২. গ্রুপের বাকি দলগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি দলকে দু’টি করে ম্যাচে হারতে হবে।
৩. শেষ চারে যাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রুপে পাকিস্তানের সব থেকে বড় বাধা দক্ষিণ আফ্রিকা। এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের দিকে। পাকিস্তানকে শেষ চারে যেতে হলে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতেই হবে ভারতের কাছে। এরপর পাকিস্তান যদি নিজেদের সব ম্যাচ জেতে তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ করবে ৫ পয়েন্টে। তখন টেম্বা বাভুমাদের হটিয়ে বাবর আজমরা সেমিফাইনালে চলে যাবেন।
৪. এই গ্রুপে জিম্বাবুয়েরও সুযোগ আছে শেষ চারে যাওয়ার। তাদের বাকি তিনটি ম্যাচ আছে বাংলাদেশ (৩০ অক্টোবর), নেদারল্যান্ডস (২ নভেম্বর) এবং ভারতের (৬ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। জিম্বাবুয়ে এর মধ্যে দু’টি ম্যাচ হারলে পাকিস্তান ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে যাবে।
৫. বাংলাদেশের খেলা বাকি জিম্বাবুয়ে (৩০ অক্টোবর), ভারত (২ নভেম্বর) এবং পাকিস্তানের (৬ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ যদি ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় এবং জিম্বাবুয়েকে হারায়, তাহলেও পাকিস্তান এগিয়ে থাকবে।
৬. নেদারল্যান্ডসের অবস্থাও ঠিক পাকিস্তানের মতো। ৩০ অক্টোবর এই দুই দেশ মুখোমুখি। যারা হারবে, তারাই ছিটকে যাবে এবারের বিশ্বকাপ থেকে।
এবি