গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে জয়ের পরও নকআউট খেলা হয়নি দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ল্যাটিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের। গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় উরুগুয়েকে পেছনে ফেলে নকআউটে খেলে দক্ষিণ কোরিয়া। যারা গতরাতে ব্রাজিলের কাছে ৪-১ গোলে ধরাশায়ী হয়।
গ্রুপপর্বে ঘানার ম্যাচ শেষে ফিফার অফিসিয়ালদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে উরুগুয়ের চার ফুটবলার। তারা হলেন, এডিনসন কাভানি, জোস মারিয়া গিমেনেজ, দিয়াগো গডিন এবং ফার্নান্দো মুসলেরা।
তাই এই চার ফুটবলারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শুধু তাদের চারজনকে নয়, উরুগুয়ে ফুটবল সংস্থাকেও বৈষম্যমূলক ব্যবহারের জন্য ফিফার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।
ঘানার বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজতেই রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন কাভানিরা। পেনাল্টির আবেদন করেছিল উরুগুয়ে। কিন্তু সেই দাবি মানেননি রেফারি। প্রথমার্ধে ডারউইন নুনেজ এবং ম্যাচের শেষের দিকে কাভানিকে অনৈতিকভাবে আটকে দেয়া হয়েছিল বলে দাবি উরুগুয়ের। লুইস সুয়ারেজ বলেন, ফিফা উরুগুয়ের বিরুদ্ধে।
প্রথমার্ধে দু’টি গোল করে উরুগুয়ে। তারা মোট ১২টি গোলমুখী শট নিয়েছিল। এর মধ্যে সাতটি শট গোলে ছিল। অন্যদিকে, ঘানা ১০টি শট নিলে এর মধ্যে মাত্র চারটি শট গোলে ছিল। ঘানা এবং উরুগুয়ে দুই দলই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ২০১০ সালের পর থেকে গ্রুপ পর্ব পার করতে পারেনি ঘানা।
ফিফা জানিয়েছে যে, কাভানিসহ চার ফুটবলারের বিরুদ্ধে খেলার স্বচ্ছতা নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। সেই ব্যাপার নিয়ে তারা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ফিফা। উরুগুয়ের কাছে ১০ দিন সময় আছে উত্তর দেয়ার জন্য।
এসএম