শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির হাতেই উঠল বিশ্বকাপের সোনালি শিরোপা। আর বিশ্বমঞ্চের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা এই ফুটবলার। কাতার বিশ্বকাপে প্রায় ১৫টি রেকর্ড গড়েছেন এই আর্জেন্টাইন জাদুকর। চলুন, একনজরে সেই রেকর্ডগুলো দেখে নেওয়া যাক-
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নেমেই রেকর্ডে নাম লেখান মেসি। মেক্সিকোর আন্তনিও কারবাহাল ও রাফায়েল মার্কেজ, জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ এবং ইতালির জিয়ানলুইজি বুফনের রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়েন। তবে কাতারে এই তালিকায় আছেন আরও তিনজন। এবার মেক্সিকোর আন্দ্রেয়াস গার্দাদো ও গিলার্মো ওচোয়া এবং পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোও ৫টি বিশ্বকাপ খেলেছেন।
আটজন পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেও সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন মেসি। এতদিন সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় ছিলেন বুফন (৩৬ বছর)। কিন্তু এই রেকর্ডের মালিক এখন লিওনেল মেসি।
বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। লুসাইলে ফাইনাল মিলিয়ে বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে সব মিলিয়ে মেসি ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। আর জার্মানির লোথার ম্যাথিউজ খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠে থেকেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি খেলেছেন দুই হাজার ২১৭ মিনিট।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৯টি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। আর মেক্সিকোকে ১৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাফা মার্কেজ।
আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৩টি গোল করেছেন মেসি। আর গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা করেছেন ১০টি গোল।
বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে বেশি গোলে সরাসরি অবদান মেসির। মোট ২১টি গোলে অবদান রয়েছে তার। এর মধ্যে ১৩টি গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট। মেসির পরেই আছেন জার্মানির মিরাস্লাভ ক্লোসা ও ব্রাজিলের রোনালদো। তাদের অবদান মোট ১৯ গোলে।
একমাত্র মেসিরই পাঁচটি ভিন্ন আসরে অ্যাসিস্ট করেছেন। মেসির পরে বাকি সবাই তিনটি ভিন্ন আসরে অ্যাসিস্ট করেছেন। এই তালিকায় আছেন দিয়াগো ম্যারাডোনা, পেলে, জেগোস লাতো ও ডেভিড বেকহ্যাম।
বিশ্বকাপে অ্যাসিস্টে দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মেসি। দুইজনেরই অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৮টি।
বিশ্বকাপের নকআউটে কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মেসি। নকআউট পর্বে দুইজনেরই অ্যাসিস্ট সংখ্যা ৬টি।
বিশ্বকাপে মেসির প্রথম ও সবশেষ গোলের ব্যবধান ১৬ বছর ১৮৪ দিন। মেসির পরেই আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তার প্রথম ও সবশেষ গোলের ব্যবধান ১৬ বছর ১৬০ দিন।
বিশ্বকাপে মেসি সবচেয়ে বেশি ১১ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন। এর মধ্যে কাতারেই পাঁচবার, যেটি এক আসরেও সর্বোচ্চ।
বিশ্বমঞ্চে মেসিই একমাত্র ফুটবলার যিনি এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন।
একমাত্র মেসিই এক আসরে তিনটি ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন।
ফুটবল ইতিহাসে মেসিই প্রথম ফুটবলার যিনি দুটি গোল্ডেন বল জিতেছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপেও গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
এবি