ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে ৩১৪ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২২৭ রানের জবাবে তাদের সংগ্রহ ৩১৪ রান। লিড হয়েছে ৮৭ রানের। ঋষভ পন্থ আর শ্রেয়স আইয়ার সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম।
বিনা উইকেটে ১৯ রান নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শুরু করা ভারত দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায়। লোকেশ রাহুলকে (১০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। ফিরতি ওভারে এসে আরেক ওপেনার শুভমান গিলকেও (২০) তাইজুল লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেই আউট করেন।
৩৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। তবে দারুণ ফর্মে থাকা পুজারাকে আজ ২৪ রানেই থামিয়ে দেন তাইজুল। পুজারার ব্যাট-প্যাড ছুঁয়ে আসা ক্যাচ শর্ট লেগে দারুণভাবে তালুবন্দি করেন মুমিনুল।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ভারতকে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দেন তাসকিন আহমেদ। তরুণ পেসারের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসবন্দি হন ৭৩ বলে ২৪ রান করা বিরাট কোহলি। ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। এরপরই পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন ঋষভ পন্থ আর শ্রেয়স আইয়ার।
একবার জীবন পাওয়া শ্রেয়স ৬০ বলে তুলে নেন ফিফটি। অন্যদিকে ঋষভ পন্থও ফিফটি পূরণ করেছেন ৪৯ বলে। ভারতের এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটার সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৩ রানে মেহেদি মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন।
ভাঙে ১৫৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। এরপরই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তার ঘূর্ণিতে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন অক্ষর প্যাটেল (৪)। ফিরতি ওভারে এসেই সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকা শ্রেয়স আইয়ারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব।
১০৫ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় ৮৭ রানে ফিরেন শ্রেয়স। ভারতের ৮ম উইকেট পতনও ঘটে সাকিবের ঘূর্ণিতে। ভারতের তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১২ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। শেষ দুটি উইকেট ভাগাভাগি করেন সাকিব আর তাইজুল। দুজনেই ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে নিয়েছেন তাসকিন আর মিরাজ।
টিএইচ