ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে রিয়ালের দারুণ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম
ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে রিয়ালের দারুণ জয়

সহজ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ পনের মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্সে হয় ছন্দপতন। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হোঁচট খাওয়া দলটিতে তাতে হয়তো জাগে শঙ্কাও। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তিন মিনিটের দুই গোলে নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যাচের। শেষ দিকে এক জন কম নিয়ে খেলা ভালেন্সিয়া আর পেরে ওঠেনি। 

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। মার্কো আসেনসিও দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। আগের দিন রিয়াল বেতিসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ব্যবধান আবারও ৫ পয়েন্টে নামিয়ে আনল রিয়াল। ১৯ ম্যাচে ১৬ জয় ও ২ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫০। সমান ম্যাচে ১৪ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। ম্যাচ শুরু হতেই দারুণ একটি আক্রমণ শাণায় রিয়াল।

সুযোগও মিলে যায়; তবে লুকা মদ্রিচের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে আসেনসিওর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। পরিকল্পিত আক্রমণে অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। ডান দিক থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার ক্রস ছয় গজ বক্সে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যাকহিলে কাটব্যাক করেন বেনজেমা। কিন্তু আসেনসিওর জোরাল শট ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল পাউলিস্তার পায়ে বাধা পায়। খানিক বাদে দুই মিনিটে আরও দুবার হতাশায় পোড়ে রিয়াল। বাঁ দিক থেকে বেনজেমার পাস পেয়ে শটই নিতে পারেননি আসেনসিও। 

পরেরবার বেনজেমার পাস ধরেই গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন ভিনিসিউস। এরপর একটু একটু করে রিয়ালের খেলায় গতি কমতে থাকে। সাত দিনে এই নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ধকল যেন ভর করে, পেয়ে বসে ক্লান্তি। বারবার তাদের ভুল পাসও ছিল দৃষ্টিকটু। এর মাঝেই প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মদ্রিচের কর্নারে হেডে বল জালে পাঠান আন্টোনিও রুডিগার। তবে ঠিক তার আগে বেনজেমা প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহকে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে গোল বাতিল করেন রেফারি। হলুদ কার্ডও দেখেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে রিয়ালের আরেকটি আক্রমণ এবং ডি-বক্সে বুক দিয়ে বল নামিয়ে বেনজেমার শট পাউলিস্তায় প্রতিহত। 

খানিক পর অল্প সময়ে জোড়া গোলে সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে তারা। ৫২তম মিনিটে ভাঙে ডেডলক। বেনজেমার পাস ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে বুলেট গতির কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন আসেনসিও। জায়গা থেকে নড়ার সুযোগ পাননি গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর নিজেদের সীমানা থেকে বেনজেমার থ্রু বল ধরে গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ভিনিসিউস। রিয়ালের জার্সিতে ২০০ ম্যাচে তার গোল হলো ৪৯টি। পরের মিনিটে গোল হতে পারতো আরেকটি।

এবি