নড়াইল-যশোর মহাসড়ক প্রশস্তকরণের জন্য কাটা হচ্ছিল রাস্তার দুই ধারের গাছ। দুই পাশ থেকেই ৬ ফুট প্রশস্ত করার কাজ চলছিল। এতে বড় একটি গাছ রাস্তার ওপর পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় লোহাগড়া থেকে নড়াইল ফিরছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার গাড়িটিও যানজটে আটকে থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন তিনি।
শনিবার নড়াইল-যশোর মহাসড়কের চৌগাছা আলম ফিলিং স্টেশনের সামনের রাস্তায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গাড়ি থেকে নেমে শ্রমিকদের উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ভাই আপনারা দিনে গাছ কাটছেন কেন? এতে যানজট হচ্ছে সবার কষ্ট হচ্ছে। তার কথা শেষ হতে না হতেই বিপরীত দিক থেকে আসে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। লোকজন বেশি দেখে অ্যাম্বুলেন্সচালক কিছুটা দূরে দাঁড়ায়।
মাশরাফি এ সময় বলে ওঠেন, ভাই সবাই অ্যাম্বুলেন্সটাকে সাইড দেন, আগে যেতে দেন। তার সঙ্গে থাকা সবাই মিলে রাস্তা থেকে গাছ সরাতে শুরু করেন। মাশরাফি নিজেও তাতে অংশ নেন।
মাশরাফির এমন উদ্যোগের কারণে রাস্তার পাশে থাকা লোকগুলো হাসিমুখে হাত নেড়ে তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনিও হাত নেড়ে হাসি মুখে প্রতি উত্তর জানান।
যানজটে আটকে থাকা ষাটোর্ধ্ব জব্বার মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, লোকমুখে তার অনেক প্রশংসা শুনেছি। আজ নিজের চোখে দেখলাম। শুধু মাশরাফি বলেই হয়তো জনগণের কষ্ট দেখে নিজে রাস্তায় নেমে গাছ সরালেন।
বিকাশ সাহা নামে এক পথচারী বললেন, তিনি শুধু মাঠের নেতা নয়, জনগণের নেতাও। এমন নেতা থাকলে উন্নয়ন কেবল সময়ের বিষয়।
এঅরাএস