বছরের শুরু থেকেই অধারাবাহিক হয়ে পড়েছে পিএজির পারফরম্যান্স। সঙ্গে যোগ হয়েছে চোটের আঘাত। সব মিলিয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা নাজুক বলাই যায়।
সবশেষ মোনাকোর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো তারা যেন আরও কয়েক ধাপ পিছিয়ে গেছে। ভীষণ বাজে পারফরম্যান্সে হেরে যাওয়ার পর তাই হতাশা ও ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেননি দলটির কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের আগে তাই দুর্ভাবনায় পড়ে গেছেন গালতিয়ের। চটজলদি গা ঝাড়া দিতে না পারলে সামনে কঠিন বিপদ দেখছেন তিনি।
লিগ ওয়ানে শনিবার মোনাকোর মাঠে কখনোই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি পিএসজি। পুরো ম্যাচেই তারা ছিল দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে। দাপুটে ফুটবল খেলে তাদেরকে ৩-১ গোলে গুঁড়িয়ে দেয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। এই নিয়ে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে নিজেদের সবশেষ সাত ম্যাচের তিনটিতে হারল পিএসজি, এই সময়ে তাদের জয় কেবল তিনটি।
এর মাঝে ফরাসি কাপের শেষ ষোলোয় তারা মার্সেইয়ের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছে। এমন ছন্নছাড়া অবস্থায় দুদিন বাদে আরও কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে পিএসজি।
আগামীকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে তারা খেলবে বায়ার্নের বিপক্ষে। মোনাকো ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে গালতিয়ের বলেন, তাদের খেলায় লড়াকু মানসিকতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, আর এটাই চিন্তার বড় কারণ। আমাদের লড়াকু মানসিকতার অভাব ছিল। আর এটিই দলের বর্তমান অবস্থা। আমি এর পেছনে লুকাতেও পারি না। দলের অবস্থা এমনই। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটিই সত্যি।
পিএসজির কোচ হিসেবে আমার মুখে এমন কথা অদ্ভূত শোনালেও, এটিই বাস্তবতা। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচ নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি চিন্তিত না হলেই বরং সেটা বিশেষ কিছু হতো। যারা এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পারেনি, তাদের কেউ কেউ মঙ্গলবার খেলতে পারবে কি-না আমরা তা দেখব। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলেননি দুই ফরোয়ার্ডের কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি।
বায়ার্ন ম্যাচে ফরাসি তারকার খেলার সম্ভাবনা না দেখলেও মেসিকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী গালতিয়ের। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় না এমবাপ্পে খেলবে। আমাদের আরও ম্যাচ আছে এবং আমরা তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেব না। ভেরাত্তি, মেসি ও বেঞ্চে থাকা অন্যরা খেলতে পারবে বলে আশা করছি।