লিওনেল মেসি একাই একশ’ আবার একই কথা খাটে কিলিয়ান এমবাপের ক্ষেত্রেও। এই দু’জন একসঙ্গে দলে থাকার অর্থ প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বুকে কাঁপন ধরে যাওয়া। অথচ, নিজেদের মাঠে মেসি-এমবাপে একসঙ্গে থেকেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারলেন না। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হেরে আসলো ফরাসী জায়ান্টরা।
ঘরের মাঠে চলতি মৌসুমে এই প্রথম হারের স্বাদ পেলো পিএসজি। অথচ, বিশ্বসেরা দুই ফুটবলার মেসি-এমবাপে প্রতিপক্ষের গোলমুখে বেশ কিছু আক্রমণও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু রেনেঁর রক্ষণ দেয়ালে ফাটল ধরাতে পারেননি। যে ফাটল গলে বল প্রবেশ করানো যায় প্রতিপক্ষের জালে। উল্টো নিজেদের রক্ষণ দেয়াল ছিল পুরোপুরি নড়বড়ে। সেই কারণে, ২টি গোল হজম করতে হলো পিএসজিকে।
নিজেদের মাঠে হারলেও পয়েন্ট টেবিলে পিএসজির অবস্থানের নড়চড় হয়নি। ২৮ ম্যাচ শেষে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মার্শেই। আর রেনেঁর পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৫০। তারা রয়েছে ৫ম স্থানে।
রেনেঁর হয়ে প্রথম গোল করেন কার্ল টোকো একাম্বি। ৪৫তম মিনিটে গোলটি করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও ব্যবধান বাড়িয়ে নেন রেনেঁর স্ট্রাইকার আরনাউদ কালিমেন্দো।
ফরাসী লিগে দুই দলের প্রথম দেখায় গত জানুয়ারিতে রেনের মাঠের ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। এবার হারের ব্যবধানটা হয়েছে দ্বিগুণ। অর্থ্যাৎ এই মৌসুমে রেনেঁকে হারাতে ব্যর্থ হয়েছেন মেসি-এমবাপেরা।
ম্যাচ শেষে পিএমজির মিডফিল্ডার ভিতিনহা বলেন, ‘নিশ্চিত আমরা খুব বাজে একটি ম্যাচ খেলেছি। একানে বলার কিছুই নেই। সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা, যারা সব সময় আমাদেরকে সমর্থন জানান।’
আরএস