দশ বছর পর শিরোপা জয়ের হাতছানি বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সামনে। শিরোপা প্রায় তাদের হাতের মুঠোয়। শেষ রাউন্ডে ড্র করলে কিংবা হারলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সামনে সুযোগ থাকতে পারে বুন্দেসলিগা জয়ের। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের দিকেও। তবে কোনো সমীকরণে যেতে চায় না বরুশিয়া, তাদের লক্ষ্য একটাই- শেষ ম্যাচ জিতেই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা। যে উৎসব দলটির করা হয়নি গত ১০ বছর!
রুহর উপত্যাকা ঘেঁষা ক্লাবটি সবশেষ লিগ শিরোপা জিতেছিল ২০১২ সালে, বর্তমান লিভারপুলের দায়িত্বে থাকা ইয়ুর্গেন ক্লপের হাত ধরে। দারুণ সেই সুখস্মৃতিতে জমা পড়েছে অনেক ধুলো। এবার তা ঝেড়ে ফেলার সুযোগ হাতছানি দিয়ে ডাকছে বরুশিয়াকে। লিগের শেষ রাউন্ডে আগামীকাল মাইন্সের মুখোমুখি হবে বরুশিয়া। ৩৩ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বায়ার্ন। শেষ ধাপে এসে ২ পয়েন্টের ব্যবধান কম নয়, কিন্তু পিছু ছোটা দলটি বায়ার্ন বলেই পা হড়কানোর সুযোগ নেই বরুশিয়ার।
আগের রাউন্ডে নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় লাইপজিগের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যায় বায়ার্ন। ওই হারে বুন্দেসলিগার লাগাম চলে আসে বরুশিয়ার হাতে। পথের শেষ প্রান্তে এসে এখন তা কোনোভাবে মুঠোছাড়া করতে রাজি নয় তারা। উৎসবে রাত উদযাপন করতে উন্মুখ হয়ে আছে দলটির সমর্থকরাও। এরই মধ্যে ৮১ হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
শেষ রাউন্ডে কোলনের বিপক্ষে বায়ার্নের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে চান না তারা। শিরোপা জিততে পারলে সেটাও দুর্দান্ত অর্জন হবে বরুশিয়া কোচ এদিন টেরজিকের। চলতি মৌসুমে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে তাকে। লিগের মাঝামামাঝি সময়ে দল শিরোপার দৌড়ে ছিল না সেভাবে। অনির্বচনীয় প্রাপ্তির আনন্দ সঙ্গী হতে পারে অধিনায়ক মার্কো রয়েসের।
চোট-জর্জর ক্যারিয়ারে ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে ধরা হয় তার প্রজন্মের সবচেয়ে মেধাবী ফুটবলারদের একজন। কিন্তু রয়েস আজও পাননি বুন্দেসলিগা জয়ের স্বাদ! বরুশিয়াতে এই আবহের মধ্যেও প্রবলভাবে উপস্থিত বায়ার্ন। ২০০১ সালে শেষ রাউন্ডে অতিরিক্ত সময়ের গোলে ড্র করে শালকের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। বাভারিয়ানদের তাই শেষ রাউন্ডে মোটেও হিসেবের বাইরে রাখছে না বরুশিয়া।