প্রথম দুই ম্যাচ হেরে খাদের কিনারে বাংলাদেশ, খুঁইয়েছে সিরিজও। আছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কাও। সেই শঙ্কা মাথায় নিয়ে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ধবলধোলাই এড়াতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ টাইগাররা। ফিরে পেতে চায় না প্রায় ভুলতে বসা তিক্ততা।
২০১৪ সালে শেষবার ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর নয় বছরে সেই অভিজ্ঞতা আর হয়নি। তবে এবার জেগেছে জোর আশঙ্কা। টানা দুই ম্যাচে হার যেখানে বড় কারণ নয়, হারের চেয়েও চক্ষুশূল হারের ধরণ। ব্যাট হাতে যেন রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করছে দল।
ধবলধোলাইয়ের তিক্ত স্বাদ স্বাভাবিকভাবেই পেতে চায় না দল। যদিও দলের অবস্থান নড়বড়ে, তবুও ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ টাইগাররা। যেই লক্ষ্যে তাদের লড়তে হবে পুরনো সৈনিকদের নিয়েই, নতুন করে আর কেউ আসছে না বাইরে থেকে। অর্থাৎ, একাদশে সাজানো হবে স্কোয়াডের সদস্যদের নিয়েই।
রনি তালুকদার স্কোয়াডে থাকলেও ইনিংস উদ্বোধন করতে পারেন নাইম শেখ আর লিটন দাসই। যদিও দু`জনেই এখনো ব্যর্থতার বৃত্তে আবদ্ধ। প্রায় দুই বছর পর দলে ফেরা নাইম শেখের জন্য শেষ সুযোগও বলা যায়। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে হয়ত আবারো ছিটকে যেতে হবে দল থেকে।
তিনে শান্ত পারফর্ম না করলেও শেষ কয়েক সিরিজের ছন্দে আজো থেকে যাবেন একাদশে। চারে সাকিব আর পাঁচে তাওহীদ হৃদয় থাকছেন, ছয়ে মুশফিকও নিশ্চিত। সাতে শেষ সুযোগ পেতে পারেন আফিফ। পর্যাপ্ত বিকল্প না থাকায় আজো তাই একাদশে থাকছেন তিনি। তবে নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ হলে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
দ্বিতীয় ম্যাচে চোটের ফলে এবাদত ছিটকে গেছেন। তার বদলে একাদশে ফেরতে পারেন তাসকিন। প্রথম ম্যাচ খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এদিকে হাসান মাহমুদের বদলে দেখা যেতে পারে শরিফুল ইসলামকে। মোস্তাফিজ আর মিরাজ থাকছেন নিশ্চিতভাবেই।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়াবে খেলা। খেলা শুরু দুপুর ২টায়।
সম্ভাব্য একাদশ : লিটন দাস, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এইচআর