প্রথম ৫ ওভারেই ৬০ প্লাস রান। সবাই ধরে নিয়েছিলো, আজ হয়তো দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে ভারত। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে স্বাগতিক ভারতের লাগাম টেনে ধরতে পেরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা।
এক বিরাট কোহলি যদি সেঞ্চুরিটি করতে না পারতেন, তাহলে হয়তো ৩০০ রানের গন্ডিও পার হতে পারতো না ভারত। শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন হয়ে ওঠে উন্মাতাল। দীর্ঘদিন পর যেন সিটি অব জয় কেঁপে ওঠে ক্রিকেট উন্মাদনায়। এই শহরে বিশ্বকাপ এসেছে আরও আগে। তবে, বিশ্বকাপের প্রকৃত আনন্দ এসেছে যেন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের হাত ধরেই।
ক্রিকেটের বাগান তথা ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি এবারের বিশ্বকাপের সেরা দুটি দল। স্টেডিয়ামের গ্যালারিও কানায় কানায় পূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই সবাই স্বাগতিক ভারতের সমর্থক সবাই। তাদেরকে উন্মাতাল করে দেয়ার মত ব্যাটিংও করেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, স্রেয়াশ আয়ার এবং শুভমান গিলরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথম ৫ ওভারেই ৬০-এর বেশি রান তুলেছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল।
৬২ রানের মাথায় উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও ২৪ বলে ৪০ রান করে যে ঝোড়ো সূচনা এনে দিয়েছেন রোহিত শর্মা, তার ব্যাটন পরে বহন করেন বিরাট কোহলি এবং স্রেয়াশ আয়াররা। স্রেয়াশ আয়ার ৭৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি পূরণ করেন। নিজের ৩৫তম জন্মদিনে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯ সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি। ১১৯ বলে সেঞ্চুরি করার পর ১২১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
রোহিত শর্মার ৪০ রানের জোড়ো ইনিংসের পর, দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান শুভমান গিল। এরপর জুটি বেধে ভারতকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যান বিরাট কোহলি এবং স্রেয়াশ আয়ার। দু’জন মিলে গড়েন ১৩৪ রানের বিশাল জুটি।
শেষ পর্যন্ত ৮৭ বলে ৭৭ রান করে লুঙ্গি এনগিদির বলে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্রেয়াশ আয়ার। লোকেশ রাহুল খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। তিনি আউট হন ৮ রান করে। সুর্যকুমার যাদব ১৪ বল খেলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান। ১৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন রবিন্দ্র জাদেজা। ২৬ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মাহারাজ এবং তাবরিজ শামসি।
আরএস