দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেন মাটিতেই টেনে আনছেন ভারতের বোলাররা। ঠিক যেমনটা এর আগে করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের পল ভ্যান মিকেরেনরা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩২৭ রানের টার্গেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছুঁড়ে দেয় ভারত। তবে লম্বা রানতাড়ায় নেমেই দিশেহারা প্রোটিয়ারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ১৫ রানের বেশিও করা হয়নি কারোরই। রবীন্দ্র জাদেজা আর মোহাম্মদ শামির বলে বিধ্বস্ত হয়ে প্রোটিয়ারা গুঁটিয়ে গিয়েছে ৮৩ রানেই। ভারতের জয় এসেছে ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।
অথচ, এই দক্ষিণ আফ্রিকাই আগে ব্যাট করলে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হতে সময় নেয় না। চলতি বছরে খেলা ওয়ানডের মধ্যে আগে ব্যাট করে কেবল একবারই হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল সেই চিত্র। এই একই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় নেদারল্যান্ডসের। সেবার পরে ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানের টার্গেটও পার করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষেও দলটির অবস্থা নাজুক। অবস্থা এমন, ১০০ রান করাই যেন চ্যালেঞ্জের বিষয় তাদের জন্য।
ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মের তুঙ্গে থাকা কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করেন সিরাজ। এরপর পাওয়ারপ্লের আগে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকেও হারায় তারা। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন বাভুমা। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে আঘাত হানেন শামি। ফিরে যান এইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ক্রিজে দুই বিশ্বস্ত ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। এই দুজনের ব্যাট থেকে রানের দেখা পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা পেলো না কিছুই। ১১ বলে ১ রান করে দলীয় ৪০ রানে ফিরেছেন ক্লাসেন। আর পরের ওভারে কোন রান না করেই আউট ভ্যান ডার ডুসেন। ৩২ বলে তার রান ১৩। দুইজনের উইকেট গিয়েছে জাদেজা আর শামির ঝুলিতে।
ডেভিড মিলার আর মার্কো জানসেন তবু আশা হয়ে ছিলেন ক্রিজে। তবে সেটাও অতি অল্প সময়ের জন্য। মিলার করেছেন ১১ আর জানসেনের স্কোর ১৪। জাদেজা আর কুলদীপের শিকার তারা। টেলএন্ডারদের কেউ অবশ্য মিরাকল ঘটাতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে মাত্র ৮৩ রানে।
আরএস