কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএলে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো রংপুর রাইডার্স। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লিটন দাসের কুমিল্লাকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের রংপুর। এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালে করতে পারেনি রংপুর। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ব্র্যান্ডন কিংকে সাজঘরে পাঠায় তানভীর ইসলাম। পরে বাবর আজমের ৩৭, আজমতউল্লাহ’র ৩৬ ও ফজলে মাহমুদের ৩০ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লাও ভাল শুরু করতে পারেনি। স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ হতেই অধিনায় লিটন দাসকে হারায় তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ব্রেন্ডন কিং। ১২ বলে ১৪ রান করে স্টাম্পিং হন তানভীর ইসলামের বলে। এরপর ৫৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও বাবর আজম।
১১তম ওভারের তৃতীয় বলে গিয়ে আউট হয়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৭ রান। এরপর ২১ বলে ৩০ রান করা ফজলে রাব্বিও সাজঘরে ফেরেন। আফগানিস্তানের অললাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ঝড় তোলেন শেষদিকে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে করেন ৩৬ রান। কুমিল্লার হয়ে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রেমন রেইফার। একটি করে উইকেট পান তানভীর, মোস্তাফিজুর রহমান ও খুশদিল শাহ।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই কুমিল্লাকে ধাক্কা দেয় রংপুর। ওমরজাইকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে দাঁড়ানো বাবরের হাতে সহজ ক্যাচ দেন লিটন দাস। গোল্ডেন ডাক মারেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ওই চাপ পুরো পাওয়ার প্লে জুড়েই ধরে রাখে রংপুর। ৬ ওভারে তারা দেয় কেবল ৩৬ রান।
মোহাম্মদ রিজওয়ানও ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন। এর মধ্যেই দলকে টেনে তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১৭তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ৬৩ রান। শেষ ওভারে দলটির দরকার ছিল ২৮ রান। হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নবী ও ওমরজাইয়ের ওভার ততক্ষণে শেষ হয়ে যায়। প্রথম বলে ওয়াইড হলেও পরের বলে রান আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় সরাসরি থ্রোতে মিড উইকেট থেকে তার স্টাম্প ভাঙেন নবি।
২৮ বলে ৩৯ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। পরের বলে লং অনে আমির জামেলের ক্যাচ নেন বাবর আজম। এরপর টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান জাকের আলী। কিন্তু তখন আর জয়ের সুযোগ ছিল না কুমিল্লার সামনে।