বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি ব্র্যান্ড মাশরাফি বিন মর্তুজা। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছেন লাল-সবুজের জার্সিতে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো লাল-সবুজের জার্সি একেবারে তুলে রাখেন নি। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছেন তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রায় শুরু থেকেই। হাটুর চোঁট যেন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই চোটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখনো মাঠে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকেন সাবেক এই ক্যাপ্টেন।
বয়স হয়েছে, সেইসঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব চেপে বসেছে তার ঘাড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে সাংসদ হয়েছেন; সেইসঙ্গে পেয়েছেন হুইপের দায়িত্ব। তবুও মাঠে ছিলেন। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন, ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মাশরাফিকে খেলানো নিয়ে হয়েছে নানা সমালোচনা। সিলেট স্ট্রাইকার্স মালিকের চাওয়া, মাশরাফি শুধু মাঠে দাঁড়িয়ে থাকলেই চলবে।
তিনি যে পুরোপুরি ফিট নন সে কথা তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে ইনজুরি নিয়ে খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ নিয়ে চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিলো। মাশরাফি নিজেও পারফর্ম করতে পারছিলেন না। সবকিছু মিলিয়ে এবার আসর থেকেই বিরতিতে গেলেন মাশরাফি।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটি আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণেই মাশরাফির এই বিরতি।
বিবৃতিতে সিলেট জানায়, হুইপ হিসেবে জাতীয় সংসদে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য চলতি বিপিএল থেকে বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেট অধিনায়ক। রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝে সুযোগ পেলে টুর্নামেন্টের সামনের দিকে খেলার জন্য ফিরতে পারেন তিনি।
মাশরাফি আবার কবে ফিরবেন এ বিষয়ে কিছু জানায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ব্যস্ততার ফাঁকে যদি সুযোগ হয় তাহলে মাঠে দেখাও যেতে পারে নড়াইল এক্সপ্রেসকে। এদিকে মাশরাফি বিরতিতে যাওয়ায় সিলেটের নেতৃত্বে দেখা যাবে মোহাম্মদ মিথুনকে।
সিলেটের সবশেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হয়নি মিঠুনের। এবার তিনিই সামলাবেন নেতৃত্ব। সিলেটের পরের ম্যাচে আগামীকাল দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে নেতৃত্বে দেখা যাবে তাকে। গেল আসরে বল হাতে বেশ অবদান রেখেছিলেন মাশরাফি। তবে এবার তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। পুরো আসরে বেশ নড়বড়ে দেখা গেছে তাকে। মাশরাফির বিবর্ণ পারফরম্যান্সে খুবই বাজে অবস্থা সিলেটেরও। আসরে পাঁচটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে দলটি। সবগুলো ম্যাচে বোলিংও করেননি মাশরাফি। বোলিং করলেও শর্ট রান আপে দৌড়াতে দেখা গেছে তাকে।